সে
-সীমা চক্রবর্তী
প্রতিবার আসি বলে যায়, যাওয়ার সময়,
এই বার ‘চলি’ বলে সেই যে গেলো চলে
হাতে দিয়ে একগোছা রক্ত গোলাপ
আর তো এলো না ফিরে
প্রতীক্ষার প্রতি পলে
নদী হয়ে বয়ে যায় একরাশ দ্বিধা সংশয়…
তারপর কত বার পৃথিবীতে দিনরাত এসে চলে গেছে
বসন্তও ঘুরে গেছে, গেছে বৃষ্টির দিন,
আমার নিস্তব্ধতা কে ঘিরে দৃষ্টি হয়েছে ক্ষীণ
উৎকন্ঠিত আমি আজও আশায় আশায়…
শব্দ পেলেই বারবার দরজা খুলে দেখি
ফিরে কি এলো সে কী ?
যায় না দৃষ্টি বেশি দূর অলিগলি রাস্তায়
তবু চেয়ে থাকি এক বুক শূন্যতা নিয়ে অসীম নীরাবতায়
সে নেই কোনখানে, অথচ আমি গভীর বিশ্বাসে।
কথা ছিল ‘চললাম’ বলে আমি যাবো আগে
দিয়ে যাবো তার হাতে রজনীগন্ধার স্তবক,
দিকশূন্যপুরে… এভাবে বড় একা লাগে
সে যে আমাকে হারিয়ে আগেই গেলো চলে
ব্যথিত দৃষ্টিতে আমি একা জেগে পরাজয়ের মালা গ’লে..