মনমোহিনী
-সুবিনয় হালদার
পুঞ্জিভূত ক্ষোভের লাভা গাদাগাদা
তুঁষে চাপা ধিকধিকিয়ে জ্বলছিল সে বুকে-,
নীল আকাশে তারা গুলো মিটিমিটি
চাঁদেরহাটে ভোগবিলাসে জ্যোৎস্না মেখে-
চুপিচুপি দিব্যি ছিলো স্বর্গ সুখে ;
আয়েশ করে দুষ্টু ছেলে ছলেবলে-
খাচ্ছিল পঞ্চ-ব্যঞ্জন বৃদ্ধাঙ্গুল চেটে !
মনমোহিনী ছদ্মবেশী অমৃত কলস হাতে
বিলিয়ে দিলো সকল সুধা নৈরাজ্যের হাটে ;
রাহু কেতু জলের তোড়ে গেঁড়ি গেলা গিলে
উদ্ভ্রান্ত পোষ্য স্তাবক চাটুকার পঞ্চভূতে মিলে,
বিষিয়ে দিয়ে নিভিয়ে দিলো গোকুল অন্ধকারে !
দাপিয়ে বেড়ায় হিংস্র প্রায় ভস্মাসুর শতশত
সদলবলে কসাই সেজে ভালোবাসে কত
সুযোগ বুঝে মারছে কোপ নিচ্ছে লুটে সর্বস্ব !
আরো কতটা সময় ধরে থাকবি-রে সব নিশ্চুপ ;
আর কতটা গভীর তলে- কালো প্রহর কামড়ে খেলে
খুলবে তবেই সাঙ্গ প্রাণে দয়াদানের মৌন মুখ !
চোখ চেয়ে সব অন্ধ সেজে থাকিসনে আর
সব বুঝে সব শুনে সবাই মিছে কেন সাথ ;
তাই চুপিচুপি শক্ত মনে চোয়াল চাপা কণ্ঠস্বর
সমবেত পদধ্বনি বজ্র মুষ্টি আওয়াজ কর ।