দরবার
-অমল দাস
ছুঁয়ে দেখনি আমাকে —ছুঁয়ে দেখনি বহুকাল
এই তপ্ত মরুতে পাথর হয়ে আছি কাঁটা-ঘেরাটোপে!
বৃষ্টির জলে শেষ কবে অমৃতের স্বাদ পেয়েছি
মনে নেই —কবে জোছনার রাতে চৌকাঠে স্বপ্ন পুঁতেছি
অথবা স্বপ্নের বীজ খুঁটে খুঁটে খেয়ে গেছে মূষিকের দল…
ছুঁয়ে দেখনি আমাকে —বহুকাল ছুঁয়ে দেখনি
আমি ছুঁতে চেয়েও ছুঁতে পারিনি পলাশের লালে নিষিক্ত রস
কতগুলি ফাগুনের রাত হুতুমেরা উল্লাসে ছিঁড়ে ফেলে-
অ-শৃঙ্খল বনানীর ‘পরে
এলোমেলো উঠোনের ঘাস পিষে গেছে
বে-ফালতু পশ্চিমি ঝড়ে,
সমবেত সপ্রতিভ প্রতিবাদী স্বর রক্তের লালে নেয়ে
মুছে গেছে হাতেখড়ির কালশিটে স্লেটে
তবুও দেখনি ছুঁয়ে পোড়া পোড়া দাগ বিভেদের দ্বারে
আমি পেনসিল হাতে নিয়ে
‘স্বরে-অ’, অথবা ‘স্বরে-আ’ মনে রেখেছি? নাকি!
কবর দিয়েছি তোমার দরবারের বহু ক্রোশ দূরে!