তিনি রবীন্দ্রনাথ
–তমালী বন্দ্যোপাধ্যায়
সদ্য পিতৃহারা মেয়েটির মন শোকে পাথর।
স্বান্তনা বাক্য অসহ্য লাগে তার, একলা ঘরে যাঁর গান তার অশান্ত মনে ক্ষণিকের শান্তি এনে দেয়…তিনি রবীন্দ্রনাথ।
পলাশ রাঙা বসন্তে,দু’টি মন ভেসে যায় প্রেমের জোয়ারে।
চলার পথে বকুলগন্ধ মিশে যায় তাদের নিবিড় আলিঙ্গনে…তাদের মনেও প্রেমময় রবীন্দ্রনাথ।
প্রতিদিনের রুক্ষ জীবন।সেই মেয়েটির ঘর ভেঙেছে পরকীয়ার ভীষণ ঝড়ে।তার মনের মধ্যেও রবীন্দ্রনাথ “একলা চলো” র মন্ত্র শেখান।
বেকার জীবন,প্রেম হারিয়ে মনখারাপি বুকে চেপে একলা তরুণ।
তার মনেতেও ব্যর্থ প্রাণের আবর্জনা পুড়িয়ে ফেলে আগুন জ্বালান রবীন্দ্রনাথ…অন্ধকারে পথের আলো জ্বালতে শেখান।
শিশিরস্নাত শরৎ রাতে,পূর্ণিমা সন্ধ্যায়,শ্রাবণের ধারায়,বৈশাখের তপ্ত দহনে… যার অক্ষরবৃষ্টিতে আমরা ভিজি…ভিজতেই থাকি।যার সুর ও কথায় ভেসে যাই…তিনি রবীন্দ্রনাথ।
তাঁর মত করে আমাদের কেউ বোঝেনি… কেউ বোঝেনা।
এইসময়েও প্রতিটি অনুভবে…আনন্দে,দুঃখে,শোকে,ভালোবাসায়,
বিরহে আমরা তাঁকে পাই…তাঁর হাত ধরি পরম নিশ্চিন্তে…তিনি আমাদের রবীন্দ্রনাথ।।
