কবিতা- শুধুই প্রেমিক

শুধুই প্রেমিক-রীণা চ্যাটার্জী আমায় চোখের ফ্যাকাসে দৃষ্টি ঢাকতে হয় নিকাজলের রঙেপেটের অবাঞ্ছিত মেদও লুকোতে হয়নি শাড়ির আঁচলেআয়নার সামনে দাঁড়িয়ে রঙীন শাড়িতে সাজতে হয় নিমালা, বালা কোনো আভূষণ তো লাগে নি তোমার জন্যকাজল, লিপস্টিকের মেকি আবরণ খুঁজতে হয় নিতোমার জন্য আমায়…তবুও তুমি আমায় ভালোবেসেছোআটপৌরে শাড়ির ভাঁজে ভরে দিয়েছো শুধুই প্রেমআমার যা কিছু এলোমেলো, অগোছালোতাই নিয়েই ভালোবেসেছো […]

অধরা মন্ত্র..

অধরা মন্ত্র..-রীণা চ্যাটার্জী শুরু হয়.. শেষ হয়। শেষ থেকে শুরু? নাকি শুরু থেকে শেষ! কোথায় আমরা? আমরা মানব জাতি? মানব সভ্যতা? মানবতা? কেমন যেন‌ পঙ্কিলতা ঘিরে রেখেছে- চারপাশ বড়ো কর্দমাক্ত। হাঁফ ধরে যাচ্ছে রোজের প্রতিবাদী অধ্যাবসায়ে।ছোটোবেলায় ঠাকুমার মুখে শোনা- ‘আমার ছেলে ছেলেটি ঘোরে যেন লাঠিমটি, তোমার ছেলে? ছেলেটা ঘোরে যেন বাঁদরটা..’ ‘আমি-তুমি’র আঞ্চলিক প্রবাদ। অক্ষরে […]

রম্য- সংসারের মহিমা (রূপক)

সংসারের মহিমা রীণা চ্যাটার্জী ইঁদারায় জল তোলার বালতির সাথে কোনও তফাত নেই জীবনের। ডোবাচ্ছে আর তুলছে, ভরছে আর খালি করছে। সংসারে যেমন প্রয়োজন তেমন, যখন প্রয়োজন তখন। সকালে ঘুম চোখ খুললেই শুরু, চা দিয়ে..শুধু একবার হাঁক দেওয়া মানে কিন্তু খুব সোজা দিনের প্রথমবার ডুবনো, চা হাজির। ‘এক টানেতে যেমন তেমন…’  শুরু হলো তারপর একে একে […]

গল্প- চেতনার ফুল

চেতনার ফুল – রীণা চ্যাটার্জী -ছোটো মা ও ছোটো মা দেখো আমাদের গাছেও এই ফুলগুলো হয়েছে। তোমার জন্য নিয়ে এসেছি। তুমি পুজো করবে বলে.. -এই.. এইই কি হয়েছে? এই সক্কাল বেলা চেঁচাচ্ছিস কেন? কি চাই এখন? – ছোটো মা কোথায় গো বড়ো মা? আমি ফুলগুলো নিয়ে এসেছি ঠাকুর পুজোর জন্য.. বলতে বলতে এগিয়ে আসে বছর […]

বিকৃত ব্যর্থ স্তম্ভ..!

বিকৃত ব্যর্থ স্তম্ভ..!-রীণা চ্যাটার্জী সুধী,সময়টা বড়োই অস্থির বর্তমানে, অস্থিরতার মাঝে আমরাই বা আর স্থির থাকি কি করে? আমরাও বড়ো অস্থির হয়ে উঠছি। ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে, সহিষ্ণুতা হারিয়ে যাচ্ছে। তবুও সর্বসংহা হয়ে মন লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে বালির বাঁধ দিয়ে- কিন্তু কতদিন সম্ভব? প্রয়োজনই বা আর কতদিনের কে জানে? জীবন ভীষণ সস্তা এখন- কান পাতলেই শুনি […]

কবিতা- শেষ নিঃশ্বাস

শেষ নিঃশ্বাস-রীণা চ্যাটার্জী জীবন্ত শ্বাসের ভিড়ে মুখরিত কোলাহল মাঝেনেমে আসে শেষ নিঃশ্বাস, অবশেষে সব শেষ।আকাঙ্খার সুপ্ত বীজ শুকিয়ে যায় শেষ নিঃশ্বাসেমিলিয়ে যায় বুদবুদের বাষ্পীয় স্ফোটনের কণায়।নিস্তব্ধতার প্রাচীর খান খান করে গুঁড়িয়ে যায়ভেসে আসে ফোঁপানি, গোঙানির মাঝে উচ্চরোলবিলাপী শব্দের বাজারে হিম শীতল কলেবর।মোহ-মায়া-বন্ধন ছিন্ন করে অনন্তের যাত্রাপথে,আয়োজনে ব্যস্ত প্রিয়জনের রীতিনীতির ব্যভিচারেঅস্পৃশ্যতায়, দূরত্বের সীমারেখায় ছিন্ন এই পৃথিবী।লোকাচারের […]

“খেলিছো এ বিশ্ব লয়ে..”

“খেলিছো এ বিশ্ব লয়ে..”-রীণা চ্যাটার্জী সুধী,অবতারণাহীন রোজনামচা বিগত কয়েক দিনের। হয়তো বেঁচে যাবো, কিংবা থাকবো না এই পৃথিবীর মাঝে। অসুস্থ পৃথিবীতে বড়ো ভয় এখন, আতঙ্ক ছেয়ে আছে মনে। অদ্ভুত এক সময়ে যখন সবসময় মনকে বোঝাতে হয়- ভালো হবে সবকিছু.. ভালো হবেই। তবুও মনে একটা ‘কিন্তু’ থেকে যায়। থেকে যায় অবিশ্বাস।ভেবেছিলাম অজানা- অচেনা পর্বটা পুরোনো সুখস্মৃতির […]

কবিতা- বন্দী জ্যোৎস্না

বন্দী জ্যোৎস্না-রীণা চ্যাটার্জী জ্যোৎস্না রোজ একা হাঁটে রাতে,ফুরালে রাত, হারায় সে প্রতি প্রাতেকায়া ছেড়ে এসেছিল নেমে পথেছায়া পারে নি আর ফিরে যেতে। বহু যোজন তফাতে দেখে অসহায় চাঁদতবুও বাড়িয়ে দেয় রোজ আবেগী হাতপৃথিবীর বুকে ভিন্ন নীতি, ভিন্ন মতখুঁজে পায় না শশধরে ফেরার পথ। দুধের বাটি, কাজল টিপে মায়ের ভালোবাসানির্ভরতা আর প্রশয়ে শিশুর ফোকলা হাসা,চাঁদ মামা […]

গল্প- দহন সমাধি

 দহন সমাধি –রীণা চ্যাটার্জী আজ আসি মামণি। সাবধানে থেকো, প্রণাম করে বলে রাজেশ। রাজেশ নীচু হয়ে প্রণাম করলে মাথায় হাত দিয়ে আশালতা বলেন, তোরা সবাই সাবধানে থাকিস। ভালো থাকিস। রাজেশ মাথা নীচু করে বেরিয়ে আসে। আশালতাও স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন দোরগোড়ায়। এক পা এক পা করে হেঁটে যাওয়ার মাঝে রাস্তার দূরত্বটা বাড়তেই থাকে। মনের মাঝে […]

পৃথিবী আবার শান্ত হবে..

পৃথিবী আবার শান্ত হবে..– রীণা চ্যাটার্জী সুধী,অতীত- বর্তমান- ভবিষ্যত কালের এই তিনের আবর্তে জীবন চলছে, জগৎ চলছে। অতীত স্মৃতির কোলাজ। ভবিষ্যত বাঁচে আশা-ভরসার স্বপ্ন দু’ চোখে নিয়ে। আর বর্তমানের সাথে বেঁচে থাকার কথা, সমসাময়িক হাসি-কান্না-সুখ-দুঃখ ভীষণ ভাবে জীবন্ত। এড়িয়ে যাবার উপায় নেই কোনোমতেই। গুরুদেবের কথায়,”মনেরে আজ কহ যে, ভালো- মন্দ যাহা কিছু আসুক সত্যকে লও […]