তীব্র আঁধার-রীণা চ্যাটার্জী সুধী,সময়টা কি এইরকম হতে পারে- দু’টো বাড়ি পরে ডাকাত পড়েছে, আমি নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে পড়ি? নাহ্, মনে হয়। তীব্র সঙ্কটের মুখে- সভ্যতা, সংস্কৃতি হয়তো বা অস্তিত্ব।আমাদের প্রতিবেশী দেশ ও দেশের নাগরিকরা যেভাবে আজ বিপদের সম্মুখে বিপন্ন হয়ে পড়েছে, ভাবতেই ভয় লাগছে।সন্ত্রাস, আগ্ৰাসনের শিকার- এমন হবার কি কথা ছিল? কেন হলো? কিভাবে হলো?ইতিহাস-ভূগোলের ভূমিকা […]
কবিতা- দূরত্ব
দূরত্ব-রীণা চ্যাটার্জী দূরত্ব মাপার চেষ্টা করিনি কখনো,তাও ছুঁয়েছে একটু একটু করে,সময়ের সমানুপাতিক কড়চায়-অনিচ্ছায়,অবিচারে,অনিশ্চয়তার ভোরে। প্রতিফলিত রশ্মির মতোঠিকরে পড়েছে মনের আনাচে কানাচে-বরফের ওপর যেমন রৌদ্রের নৃত্যনৃশংসতার শৈলী এঁকে..তীব্রতার আল্পনা দিয়ে প্রলয়েরপ্রশ্রয় খোঁজে, হিমবাহের স্থির কম্পনে-দূরত্ব নেমে আসে সৃষ্টির দোলাচলে..ঠিক সেই ভাবে মুহূর্তের ঘাতে-প্রতিঘাতেনীরবতার মূর্ছনায় দূরত্ব ছুঁয়েছে আমায়।ঠিকানা হারানো কোলাহলেরলবণাক্ত স্বাদে দূরত্ব ছুঁয়েছে আমায়।রঙ বেরঙের বেলোয়ারীর বালিয়াড়িহাতড়ে, […]
চিঠি- ভালোবাসা, তোমার উড়ো মেঘ
ভালোবাসা, তোমার উড়ো মেঘ-রীণা চ্যাটার্জী প্রিয় ভালোবাসা,কেমন আছো ভালোবাসা? বদলে গেছো বুঝি এখন অনেক? চিনতে পারবে যদি দেখা হয় আবার কখনো, কোনোদিন পড়ন্ত বেলায়!যদি কোনোদিন তোমার চলার পথে এক ঝলক আষাঢ়ে মেঘ আসে, কি করবে? সরে যাবে তো একটু আড়াল খুঁজে নিতে? যেও না, একটু দাঁড়িয়ে যেও মেঘের নীচে। একটু না হয় ভিজলে.. একটু না […]
Be তার্কিক
Be তার্কিক-রীণা চ্যাটার্জী সুধী,“বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর” এই প্রবাদ বাক্য মনে করিয়ে তর্ক থেকে শত হস্ত দূরে থাকতে ছোটোবেলায় উপদেশ দিতেন গুরুজনেরা। শান্তিপ্রিয় মানুষ তর্ক এড়িয়ে চলে, যুক্তিবাদী মন অহেতুক তর্ক এড়িয়ে চলে- এ তো খুবই গতানুগতিক কথা, সবাই জানে। তবুও কখনো কখনো কমবেশী কথা বলতেই হয় যুক্তির নিরিখে- তাকে তর্ক না বলে আলোচনা […]
রম্য- মুখোমুখি
মুখোমুখি-রীণা চ্যাটার্জী “দু’জনে মুখোমুখি কতো যে সুখী…” ধুর ধুর স্রেফ বাজে কথা। মুখোমুখি বসে সুখী! হয় না, হওয়া যায় না। আচ্ছা প্রথম মুখোমুখি বসার কথাই ধরি না হয়। সেই যে প্রথম দিন বসালো ঘেঁটি ধরে নাছোড় অভিভাবকরা পাত্রপক্ষের সামনে এনে, আড়চোখে দেখি বাবুমশায় মাথা নীচু করে ঘাড় উঁচু করে দেখার চেষ্টা করছে। বুঝলাম ষোলো আনার […]
কবিতা- প্রতীকী
প্রতীকী-রীণা চ্যাটার্জী অনুভূতিরা ভাগ হয়েছে শেষেচেতনার ধ্বংসের সীমানায়সুখ-দুঃখের মাঝে অবচেতন ধসে।নদীর দু’কুলের করালগ্ৰাসের দূরত্বেজোয়ারের উচ্ছাসে অভিমানী আবর্জনাভাটায় ভাসে পাড়ে-পড়ে থাকে মৃত স্মৃতিছিন্ন দলিলের মতো একপাশে।মূল্যহীনতার হীনমন্যতায় ক্লিশে থেকেক্লিশতর হাসির কৌতুকী বদান্যতায়..পাড় ভাঙে, পাড় গড়ে বহমান ধর্মে-চক্রান্তের সাক্ষ্য দেয়…গ্ৰহণের গ্ৰহ দোষ বান আনে,অনিবার্যতায় ডুবন্ত ক্ষিতি-প্রতীকির প্রতীক্ষিত প্রতীক্ষায়,ভাসিয়ে দিয়ে, ভেসে যায় মৃত অনুভব..সাথে নিয়ে ভাগ্যের হৃত কলরব।
ফাউ ষষ্ঠী
ফাউ ষষ্ঠী-রীণা চ্যাটার্জী সুধী,উৎসবমুখর বাঙালীর আজ আর এক উৎসব- জামাই ষষ্ঠী। কচি, বুড়ো, দামড়া, মেজাজী, বদমেজাজী, কুচ্চুকুরে যেমন জামাই হোক না কেন পঞ্চ ব্যঞ্জন সাজিয়ে মুখের সামনে ধরতে হবে। রীতি- নীতি মেনে বাজার দর হাঁকিয়ে, পকেট ফাটিয়ে খাতির করতে হবে। নাহলেই অসম্মান- শোনাও শ্বশুরের মেয়েকে দু’চার কথা, ও তে কোনো ট্যাক্স লাগে না।সকাল থেকে উপোস […]
গল্প- মোটা ধান
মোটা ধান-রীণা চ্যাটার্জী সকালের কাজের ব্যস্ততার মাঝেই বেসুরো সুর- বৌদি আজ বিকেলে কাজে আসবো না। ঘরে অতিথি, কপালে ঘাম, মাথা গরম, তাও ঠাণ্ডা গলায় জিজ্ঞেস করলো দীপালি- কাল সকালে আসবে তো?-দেখি যদি রাতে ফিরে আসতে পারি তাহলে আসবো। ননদের বাড়ি যাব। গলাটা আরো নামিয়ে কানের কাছে এসে বললো, বড়োছেলের জন্য মেয়ে দেখতে যাব। ঝিমলি প্রায় […]
কবিতা- হয়তো এই শেষ
হয়তো এই শেষ-রীণা চ্যাটার্জী হয়তো এই শেষএরপরে হবে না হয়তো কোনো কথাছুটি নেবে শব্দরা বিনা পারিশ্রমিকেঅনাহুত যেটুকু থাকবে ছড়িয়ে পড়ে..কিছুটা বিহগার ঠোঁটে উড়ে যাবে দূরে,কিছু চাপা থাকবে ধানের অর্ধমুক্ত শীষে,আর কিছু ডাহুকের ডাকে ফুরোবে দুপুরে। হয়তো এই শেষএরপরে আর হবে না হয়তো দেখাস্মৃতির ধুলোঝড়ে ঘিরে যাবে মরীচিকাপথ হারাবে সেদিন দৃষ্টির সীমারেখা।পলাশ ছড়াবে না পথে রঙের […]
কবিতা- বিদগ্ধ বিবর্ণতা
বিদগ্ধ বিবর্ণতা-রীণা চ্যাটার্জী যতটুকু ঝড় উঠে…ডুবে যায় ভাঙা স্রোতে,হারিয়ে ডাঙা কিছুটা নোনা জলবাঁধ ছেড়ে দুরন্ত লোভেভরা পেটে বেসামাল আগ্ৰাসী বেগে,কেড়ে নিতে চায় সৌভাগ্য চিহ্ন,স্নেহের কোল, ফুটো ছাদ, ডুবন্ত আভাসে। লোভের রোমে রোমেবসতির ব্যস্ততা দেখে..সেই কবে কোন সুদূরেম্যানগ্ৰোভ ছেড়ে দিয়েছে হাত-প্রকৃতির ভূমিকার বিদগ্ধ প্রশ্নেঅভিনয়ের ক্ষত রেখেঅস্তিত্বের সঙ্কটে আর হলুদ নিঃশ্বাসে। ঝড় থেমে গেলে,আবার ওঠে ঝড়ের মেলা..তুমি-আমি […]