“রাম চন্ডী’র মিত্তির” –প্রদীপ দে আজ আর কোন চেঁচামেচি কিছু নেই। বাপরে বাপ! আজ একেবারে গিন্নিকে মেরে দিয়েছি। বাজার করে দেখিয়ে দিয়েছি বাজার কাকে বলে? বাজার আনার ব্যাজার নেই। কিন্তু গিন্নির যা মুখ! একেবারে মাথা খারাপ করে দেয়। একটু এদিক ওদিক হলেই রাম রাবণের যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। আর আমি বেচারা রাম (?) চুপ করে […]
রম্য- রসভঙ্গ
রসভঙ্গ-পায়েল সাহু দত্ত বাবুকে মনে আছে তো সবার?সেই যে আগের বার পাড়াতুতো ভায়রাভাইয়ের শালীকে নিয়ে সেই ঘটনায় সোনামনি বৌদির দাওয়াইয়ের পর আর ঘেঁষেন নি তার “মনি”র দিকে।তা যাকগে যাক, ওসব পুরোনো কথা। এখন আসি নতুন গল্পে।দত্ত বাবুর পাশের পাড়ায় নতুন একটি মেয়ে এসেছে, মনে মনে যাকে “ফুলঝুরি” বলে ডাকেন দত্তবাবু। তা এই “ফুলঝুরি” […]
রম্য- গ্যাসের কামাল
গ্যাসের কামাল-পায়েল সাহু দত্ত বাড়ির কর্তার পেটে বড়ো গ্যাস হচ্ছে কদিন ধরে। পাড়াতুতো ভায়রাভাই বেণীচরণ বালার শালা নাকি নামকরা ডাক্তার, তা সেই ডাক্তারের ওষুধ খাচ্ছেন বটে তবে সেই ওষুধ খেয়ে কমা তো দূরের কথা আরো যেন বেড়ে যাচ্ছে। এক ঘরে গ্যাস ছাড়লে পাশের ঘর অব্দি গন্ধ হয়ে যাচ্ছে।মহা মুশকিল…এদিকে ভায়রাভাইয়ের বৌ মানে শালী, […]
রম্য রচনা- একান্ত গোপনীয়
একান্ত গোপনীয়– সুজিত চট্টোপাধ্যায় ঢেঁকি নাকি স্বর্গে গিয়েও ধান ভাঙে।লাথি না খেলে ঢেঁকি কর্ম করে না। এটাই চিরাচরিত অপরিহার্য পদ্ধতি। অর্থাৎ স্বর্গে লাথালাথি করার নির্দয় বিধির প্রচলন আছে।না ভাই আমি নেই। মানে আমি স্বর্গে যেতে চাই না। লাথি খাওয়া আমার ধাতে সইবে না। কেন না, আমি নিশ্চিত জানি, আমি ঢেঁকি।মেজাজি সংসারের ম্যাও সামলাতে […]
রম্য- শাকচুন্নির পরকীয়া
শাকচুন্নির পরকীয়া -জয়তী মিত্র উঁরি বাঁবারে পাঁ’টা ভেঁঙে গেঁল রে, কিঁ যঁন্ত্রণা হঁচ্ছে, মঁরে গেঁলাম রেঁ, কিঁ কুঁক্ষণে এঁই শ্যাঁওড়া গাঁছে মাঁমদোটার সাঁথে প্রেঁমে মঁজে ছিঁলাম কেঁ জাঁনে, কেঁ জাঁনতো গাঁছের ডাঁলটা ভাঁঙা ছিঁল। বঁজ্জাতটা আঁমাকে পঁড়ে যেঁতে দেঁখে ঠিঁক কেঁটে পঁড়েছে, প্রেঁম দিঁবসে একখাঁনা নেঁকলেস আর একগুঁচ্ছ গোঁলাপ দেঁবে বঁলেছিল সেঁ তোঁ আঁজও দিঁলো […]
রম্য- হাগ ডে
হাগ ডে -জয়তী মিত্র পাড়ার মোড়ের মাথার দোকানে ডিম আনতে গিয়ে চম্পা শুনল আজ হাগ ডে। পাশের চায়ের দোকানে কিছু অল্পবয়সী ছেলে হাগ ডে নিয়ে কি সব বলছে। ওরা নাকি ওদের প্রেমিকাদের সাথে হাগ করবে মানে হাগবে। এইকথা শুনে চম্পা ভাবল, হাগার আবার কোনো দিন আছে নাকি। আমরা তো রোজ হাগি। ছেলেগুলো মেয়েদের সাথে হাগবে। […]
রম্য- ভন্ড ভন্ডুল
ভন্ড ভন্ডুল– সুজিত চট্টোপাধ্যায় দেবতা বললেন, বৎস, তোমার সাধনায় আমি তৃপ্ত। বলো, কী বর চাও?সাধক নির্লিপ্ত কণ্ঠে বললেন …. প্রভূ , আমি ট্রাডিশন ভাঙতে চাই ।দেবতা কিঞ্চিৎ ঘাবড়ে গিয়ে বললেন – মানে ?সাধক স্মার্টলি বললেন , দেখুন প্রভূ , ওসব বর ফর অনেক পুরনো রদ্দি ব্যাপার । অনেকেই আপনার থেকে ঐসব নিয়েছে টিয়েছে […]
রম্য- যুগের হাওয়া
যুগের হাওয়া– সুজিত চট্টোপাধ্যায় অমন খেঁকিয়ে উঠছো কেন বাপু। তোমায় তো কিছু বলিনি। তোমার গায়ে ফোস্কা পড়ছে কেন?আকচার বুলি। কলতলার সকাল সাঁঝের মুখঝামটা ডায়লগ।আচ্ছা , গন্ডারের গায়েও কী ফোস্কা পড়ে?মুখপোড়া হনুমানের মুখ পোড়ে?দুর মশাই , প্রবাদবাক্য গুলো সব গুলে খেয়ে হজম করে ফেল্লেন?কানে দিয়েছি তুলো , পিঠে বেঁধেছি কুলো। মনে নেই ? সুতরাং […]
রম্য- ভোজনে বাঙালী
ভোজনে বাঙালী-রীণা চ্যাটার্জী বাজারের ব্যাগ নিয়ে বাজারে যাবার আগে হাবিজাবি, এঁচোড়-থোর, ওল-ঢোল, মোচা-ওঁচা, কচু-ঘেঁচু, শাক-ঢাক সময়ে-অসময়ে না বুঝে না দেখে কেনার সাবধান বাণী প্রায় সব বাঙালী ঘর থেকেই ভেসে আসে। সে কথা কানের পর্দা ভেদ করে মন-মস্তিষ্ক কোথাও ঢোকে বলে মনে হয় না। কারণ বাজার থেকে বিশাল বপুর থলিটি নিয়ে হৃষ্ট চিত্তে কর্তা বাড়িতে ফিরে […]
রম্য- যৌবনোঃ ভবঃ
যৌবনোঃ ভবঃ-সুজিত চট্টোপাধ্যায় যেই না কিনা বয়স ঢললো, অমনি কিনা দেহ গললো। দেহ যেন মোমবাতি। যেই জ্বলা শুরু, সেই গলা শুরু।সারা গা বেয়ে এঁকেবেঁকে নেমে আসছে সরু সরু শিরার মতো মোমের ঝর্ণাধারা। মোমবাতি গলছে, গলিত মোম, বাতির গা বেয়ে নামছে আর বাতি ক্রমশঃ পুড়ে পুড়ে ক্ষয়ে ক্ষয়ে ছোট হচ্ছে।ক্রমশঃ বিদিকিচ্ছিরি, কুৎসিত চেহারা পাচ্ছেমসৃণ নিটোল […]