রম্য- সাবধানের মার নেই

সাবধানের মার নেইসুজিত চট্টোপাধ্যায়     চুকলি করা, কিংবা উস্কে দেওয়া বিদ্যে সকলের থাকেনা। কেউ কেউ এই বিশেষ বিদ্যে নিয়েই ভূমিষ্ট হয়। জন্মগত বিদ্যে। ঈশ্বর প্রদত্ত কী? এর উত্তর একমাত্র তিনিই দিতে পারবেন।আচ্ছা, এটাকে বিদ্যে বলা কি উচিৎ হচ্ছে ? মোটেই না। কিন্তু , আমরা তো বলি চুরি বিদ্যে। আসলে বিদ্যে হলো , কোনও বিশেষ […]

রম্য- অথ দন্ত কথা

অথ দন্ত কথা-সুজিত চট্টোপাধ্যায়     দাঁত। কি বলবো মশাই , মানব শরীরের এক অদ্ভুত জিনিস।দাঁত, থাকলেও জ্বালা , না থাকলেও…দাঁত থাকতে আমরা নাকি তার মর্ম বুঝিনা ? আমি মানলুম না। হাড়ে হাড়ে মর্ম বুঝি। বুঝিনা মানে , ইয়ার্কি করার জায়গা পাওনি , চালাকি! জামাই ষষ্ঠী । মেয়ে জামাই যথারীতি নিমন্ত্রিত । বিগত তিন দিন […]

রম্য- কথকতা

কথকতা-সুজিত চট্টোপাধ্যায়     কিরে পাগলা বিয়ে করবি? হেঁ হেঁ … টোপর হাতে বসে আছি …বিয়ে পাগলা প্রেমের আদ্যিক্ষেতা কে প্রেমময় বলিয়া ভুল করিওনা।উহা অচিরেই কম বয়সের কামনা বলিয়া,পরিগণিত হইবে।ঘোর কাটিলেই ঘর ভাঙিবে । পিতা মাতার আশীর্বাদ ভিন্ন ঘর বাঁধার স্বপ্ন, নিজ পায়ে কুঠারাঘাত প্রতিপন্ন হইবে, ইহাতে কিছু মাত্র সন্দেহের অবকাশ নাই। সুতরাং ভবিষ্যতে, কম […]

রম্য- বাস্তবতা

বাস্তবতা-সুজিত চট্টোপাধ্যায়     শোক বা সুখ , কোনটাই প্রলম্বিত হয়না। ক্ষণচারী বলেই রক্ষে, নইলে বিপদের একশেষ হতো। অনিত্য জাগতিক বাস্তবতা। শীতকালে গায়ে ঠান্ডা জল ঢালার মতো। প্রথমে একটু ঝাঁকুনি দেবে , তারপর সয়ে যাবে। আসলে সয়েই যায়। প্রকৃতি আমাদের সেই ভাবেই গড়েছে। আমরা প্রকৃতির দাস। যতক্ষণ জীবন , ততক্ষণ দাসত্ব। রেহাই নেই। তাই রসেবশে […]

রম্য – রহস্য ভালবাসা

রহস্য ভালবাসা-সুজিত চট্টোপাধ্যায়     পেনশন পেনশন। ধন্য ইংরেজ বাহাদুর। ভাগ্যিস পেন ধরা শেষে পেনশন ধরিয়ে ছিলে। নইলে, ল্যাজেগোবরে হতে হতো। এই মাগ্যিগণ্ডার বাজারে,বৃদ্ধ বয়সে অন্যের হাততোলা হয়ে থাকতে হতো। চক্ষুলজ্জার মাথা খেয়ে , চোখ রাঙানি, মুখ ব্যাকানি হজম করতে হতো। রেহাই রেহাই। জয় বাবা পেনশন। কপাল কুঁচকে লাভ নেই। সত্যি কথায় ডর নেই।আরে মশাই […]

রম্য- প্রেমের ফাঁদ

প্রেমের ফাঁদ-সুজিত চট্টোপাধ্যায়     প্রেমের ফাঁদ পাতা ভূবনে। চোখে চোখ পরলো, মন থেকে মনে অদৃশ্য বিদ্যুৎ খেলে গেল , ব্যাস হয়ে গেল। তুমি আমার আমি তোমার। দুনিয়া যাক রসাতলে, তোমারি সঙ্গে বেঁধেছি আমার প্রাণ।আয় তবে প্রেম করি , হাতে হাতে ধরি ধরি , ময়দানে ঘুরি ঘুরি , ফুচকা খাবি আয়। আর কে পায়। মন […]

রম্য- ম্যাও

ম্যাও -রীণা চ্যাটার্জী গৃহস্থ বাড়িতে বেড়াল, আর মনের মধ্যে লোভ- দু’টো এক জিনিষ। কোনো তফাত নেই। সকালে উঠে মাছের বাজারে যাও। চোখ খালি খুঁজবে কোথায় তাজা ইলিশ, কোথায় জ্যান্ত চিংড়ি, কোথায় টাটকা ভেটকি। মনের মতো পেলে তো আর কথাই নেই, একেবারে আড়াই লাফ। উবু হয়ে বসে পড়বে। দরদাম করবে। তারপর কিনবে। সাধ্যের মধ্যে কিনবে। লোভে […]

রম্য- ঠাকুরঘর

ঠাকুরঘর– সুজিত চট্টোপাধ্যায়   ঠাকুরঘর তো নয়, যেন দশকর্মভাণ্ডার। তেত্রিশ কোটি দেবী দেবতার আবাসস্থল। মাসমাইনে পুরুতঠাকুর দু’বেলা নিয়ম করে আসেন, পুজো সারেন, শাঁখ ঘন্টা ফুল তুলসী গঙ্গাজল নৈবেদ্য, আয়োজন ভালোই।বুলিবুলি, মেয়ের ঘরের নাতনী। মাত্র আট বছর বয়স। ভারী দুষ্টু।ও দাদু, দাদু, রোজরোজ কার পুজো হয় গো?দাদু স্বামীজীর লেখা, কর্মযোগ পড়ছিলেন।গম্ভীরমুখে বললেন, ওই সব ঠাকুর দেবতাদের […]

রম্য রচনা- শুকনো কেস

শুকনো কেস -অমল দাস   পাড়ার প্রীতি বৌদিকে বেশ ভালোই লাগে আমার। যত দিন যায় ততই যেন চাঙ্গা হয়ে উঠছে। যেমন গৌরবর্ণ ত্বক তেমনই আকর্ষণীয় দেহ। মুখশ্রী দেখলেই প্রাণে দোলা লেগে যায়। আলাপ আছে, মাঝে মাঝে বৌদির সাথে কথা হয় বইকি! কিন্তু মন যেন অমোঘ কিছু চায় তার কাছে। বৌদির একটা ছেলে আছে তুহিন, ষোলো […]

রম্য- ভুতের ভাবনা

ভুতের ভাবনা– সুজিত চ্যাটার্জী   এখন আমি ভূতের আস্তানায়। কি করে এলাম জানিনা। অন্ধকার পাহাড়ি পথে গাড়ি বিগড়ে গেল। জনপ্রাণী হীন। তার মধ্যে প্রবল বৃষ্টি। উপায় নেই। ভোরের অপেক্ষায়, গাড়িতেই রাত কাটানোর সিদ্ধান্ত পাকা। ঘুমিয়ে পরেছি। আচমকা ঘুম ভেঙ্গে গেল।একি,আমি কোথায়? সাজানো ঘর। আলো নেই, তবু ঘর আলোকিত। বিশাল খাটে আমি শায়িত।আমার চারপাশে কয়েক জন, […]