ঠাকুমার মুখে শোনা

ঠাকুমার মুখে শোনা -অঞ্জলি দেনন্দী ভারতের, বাংলার, হুগলী জেলার, একটি গ্রাম। নাম, চৈতন্যবাটী। দামোদর নদের তীরে। তার পাশের গ্রামের নাম, নিশ্চিন্তপুর। নদের বন্যা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এই দু’ গ্রামের সংযোগস্থলে একটি মাটির বাঁধ। এটিকে আমরা বড় বাঁধ বলেই ডাকি। আমাদের গ্রামে আসার ঠিক একটু আগেই, নিশ্চিন্তপুরের ওপরে, একটি বিরাট মা শ্রী মনসা দেবীর গাছ। […]

জন্তুম্যানড্যাডের মুখোশের আড়ালে

জন্তুম্যানড্যাডের মুখোশের আড়ালে -অঞ্জলি দে নন্দী একটি জন্তু-ম্যান, ড্যাড হল। শিশুটি হামাগুড়ি দিচ্ছে….. মেঝের ওপরে, কখন লুকিয়ে, ছুঁচ ফেলে রাখলো। মাটি খুবই ঈশ্বর নির্ভর! সদা সর্বদা ঈশ্বরকে বলে যে তিনি যেন তার পুত্রকে রক্ষা করেন। তাই, তার নজরে এলো, ঠিক সময়ে ছুঁচটি। আর একটু দেরী হলেই, ছেলের কচি হাতে গেঁথে যেতো। মা তুলে নিল। ছেলেটির […]

বর্ষা যখন জীবনজুড়ে

বর্ষা যখন জীবনজুড়ে -অঞ্জলি দে নন্দী বর্ষার জল ঝরে, সারা জীবনজুড়ে, দুনয়ন থেকে। বিয়ে হল। কলকাতার, ধনী ব্যবসায়ী বাবার, সুন্দরী কন্যা। পাত্র বি কম পাস। বেসরকারী চাকুরীরত। হুগলীর, কিন্তু ভাড়া থাকে দুজনে হাওড়ায়। চার বছরে, প্রথমে একটি মেয়ে, বিয়ের এক বছর পরে, ও তার তিন বছর পর আর একটি ছেলে হল। এদের মাঝে হুগলীর, চৈতন্যবাটী, […]

সত্যই শিক্ষা বটে

সত্যই শিক্ষা বটে -অঞ্জলি দে নন্দী বউটি উত্তর প্রদেশে থাকতো, তখন। ছোট ননদের বিয়েতে, গিয়ে পৌঁছল, স্বামীর সাথে, গ্রামের শ্বশুরবাড়িতে। আগে থেকে চিঠিতে পাঠানো, ননদের লিষ্ট অনুযায়ী, প্রায় দশ হাজার টাকার জিনিস কিনে নিয়ে, ওরা এলো। বউটির উত্তর প্রদেশে টাকার অভাবে, কষ্টে কষ্টে, রোগ হয়ে যেত। তবুও বিয়ের পর থেকেই সে, টাকা জমিয়ে রাখতো। কারণ, […]