-
কবিতা- বিরহ
বিরহ
– ডাঃ গোলাম রহমান ব্রাইটআমার পুরো অস্তিত্ব জুড়ে বিরহ ব্যথা ভরা
ফুরিয়ে এলো অযুত স্বপ্ন বিষাদে মাখা ধরা।
বিনিদ্র রাতে বর্ণিল স্বপ্নে অদৃশ্য হবে তারা
খাঁচার পাখি আকাশ ছোঁবে বইবে অশ্রু ধারা।
বিরহী সুরে বিজন দেশে হৃদয় খুলে গাই
কুহকী ক্ষণে গচ্ছিত রাখা মুহূর্ত গুলো পাই।মসৃন স্বরে বিরহ গাঁথা সইতে যেন পারি
শান্তির নীড়ে অতৃপ্ত মুখ যন্ত্রণা বুকে ভারি।
জমাট বাঁধা চিন্তার ভাঁজে বিবর্ণ কাঁটা ভরা
আশার আলো বর্তিকা হয়ে ফেরাবে শান্তি ত্বরা।
বিস্ময়ে ভরা আঁধারে আলো মেঘের ফাঁকে চাঁদ
কোমল কান্না অঝোরে ঝরে মানে না কোন বাঁধ।অচেনা নদী স্রোতের সাথে জীবন তরী গাঁথা
অনন্ত কাল চলেছে ছুটে হিসাব ছাড়া খাতা।
বেদনা ছুঁয়ে আকণ্ঠ ধুয়ে দু’ফোঁটা জল চোখে
ঘুমের ঘোরে অমোঘ টানে জীবন গেলো শোকে।
ভোরের পাখি বাউল হয়ে কানের কাছে বলে
উত্তাল স্রোতে মাঝির তরী কেমন করে চলে? -
কবিতা- “অপেক্ষা”
“অপেক্ষা”
–ডাঃ গোলাম রহমান ব্রাইটতুমি বিহীন বিতৃষ্ণায় কাটে মোর প্রতিটি প্রহর
মনের আঙিনা শূন্য লাগে জনাকীর্ণ এই শহর।
তোমার প্রতীক্ষায় আকুল হয়ে মনটা থাকে ভার
করুণ সুরের মূর্ছনায় ভিজে মনোবীণার তার।ভোরের আলোয়, ক্লান্ত দুপুরে কত স্বপ্নজাল বুনি
নিঝুম রাতের আঁধারের ঘোরে আকাশের তারা গুনি।
আজো বসে আছি তোমার অপেক্ষায় কত স্বপ্ন আশা
তোমার মাঝে হারিয়েছি মন সঁপেছি ভালোবাসা।কতো গোলাপ শুকিয়ে গেলো এতোটুকু সময় পেলেনা
কতো রাত আর বসন্ত এলো; তুমি শুধু এলেনা!
নীল আকাশ, বিস্তীর্ণ মাঠ আর পাখিদের কলতানে
পরিশুদ্ধ স্নানে প্রার্থনায় বসি, মন বসেনা কোনখানে।চোখ বন্ধ রেখে পাওয়ার আশে যখনই পুলকিত হই
রাত জেগে জেগে কত স্বপ্ন আঁকি; উদাস হয়ে রই!
মনে জাগে ভয়, ভীষণ সংশয় কে জানে কি হয়!
সিক্ত এ হৃদয় উদাস হয়ে যায় তবু তারে ভোলার নয়।প্রাণের অস্তিত্ব বিনাশ হবে সাগর হবে মরুভূমি
আমার আহাজারি সবাই শোনে, শোন না শুধু তুমি।
বিমূর্ত সময়ের কল্পনাগুলোর অবসান কবে হবে!
সাঙ্গ হবেনা অপেক্ষার পালা, নিথর দেহ পড়ে রবে। -
কবিতা- অদৃশ্য কাঁটা
অদৃশ্য কাঁটা
ডাঃ গোলাম রহমান ব্রাইটহতাশা ঘেরা দুর্বোধ্য কাব্য প্রাঞ্জল রূপে আসে
প্রচ্ছদ ছিঁড়ে ধুসর চোখে পিছন থেকে হাসে।
গোপন ক্ষত উন্মুক্ত করে মুখোশ খুলে কাশে
বেরিয়ে পড়া চোখের মনি কালের কন্ঠে ভাসে।
সোনালী অক্ষে বর্ণিল আভা দিগন্তে পড়ে আছে
সৌরভগুলো বিলিয়ে দেবো প্রেয়সী নেই কাছে!চোখের কোণে উন্মত্ত ঝর্ণা আপন মনে ঝরে
বিষাদে গাঁথা চপল দৃশ্যে তৃষিত প্রাণ ভরে।
নির্মোহ চোখে বিষণ্ণ ছায়া একলা জেগে থাকি
জাপটে ধরা স্মৃতির খাতা ক্রমশঃ দূরে রাখি।
সর্বাঙ্গ জুড়ে শীতল স্পর্শে শুকিয়ে যায় আঁখি
বিজন দেশে যেতাম উড়ে হতাম যদি পাখি!পথের প্রান্তে নিমগ্ন চিত্তে বিভ্রমে দিন কাটে
খেয়ালি মনে কল্পনাগুলো নক্ষত্র পুঞ্জে হাঁটে।
অলীক তন্দ্রা ছুঁয়েছে কায়া বিন্যস্ত হলো মায়া
অদৃশ্য কাঁটা সনাক্ত করে প্রক্ষিপ্ত এক ছায়া।
গহীন পথে দূর্গম খাদে বিকীর্ণ হলো আলো
ঝিমিয়ে পড়া চোখের পাতা বিষাক্ত বিষে কালো!