-
কবিতা- আকাশ বাসর
আকাশ বাসর
– তন্ময় দে বিশ্বাসতোকে নিয়ে ঘর বাঁধবো আকাশতারার দেশে
রামধনুটা সপ্তরঙায় যেথায় গিয়ে মেশে,
জ্বালবি ঘরে চাঁদের আলো কলাবতীর ঢঙে
ঢাকবি শরীর মেঘবসনে কাজলকালো রঙে।তারার সাথে করবি খেলা কালপুরুষের ছায়ে
পাতবি বাসর ভুবনডাঙার শুকতারাটির গায়ে,
আসবো আমি বিজলী হেনে সারা আকাশ জুড়ে
ঝরবি বাদল করকা শীতল বৃষ্টিধারায় মুড়ে।গাইবো যখন বজ্রনিনাদ গভীর অনুরাগে
শুনবি তখন কালের বাণী অনন্ত বৈরাগে
নাচবো আমি তাথৈ তাথৈ প্রলয় নাচন হয়ে
হোস ধারাপাত অশ্রুপ্রপাত বজ্রকপোল বেয়ে।মাটির বুকে শান্ত হবো অশনিপাত যবে
তোর প্রবাহ খরস্রোতে সাগরপানে ধাবে
উদয়ভানু মেলবে তনু নতুন দিনের ভোরে
তোর পারাবার অকূল অপার বাঁধবি রবিকরে।ফিরবি আবার আকাশদেশে রচবি নতূন ভেলা
নতুন করে খেলবো আবার সেই সে আদিম খেলা,
নিত্য গড়া নিত্য ভাঙা নিত্য যাওয়া আসা
নিত্য মিলন নিত্য বিবাদ নিত্য ভালোবাসা। -
কবিতা- বাদলস্নান
বাদলস্নান
-তন্ময় দে বিশ্বাস
একটা বাদলা আকাশ ভিড় করে নগ্ন শরীরে
ঘর্মাক্ত হতে চেয়েও
যেন এক সিক্ততা অনুভবি কায়া –
দুর্জয় পাহাড় ডিঙোনোর প্রত্যয়
খানখান হয়ে ভেঙে গড়ে তোলে পিচ্ছিল বাহ,রমনী কায়ার মতো সামনে যে ধূমায়িত স্তব
আলিঙ্গনে বাঁধতে চেয়েও –
আড়ষ্টতা গ্রাস করে দেহ,
গভীর চুম্বনের স্বাদ যা বহু আকাঙ্খিত-
নির্লিপ্ততা বয়ে যায় কামনা শিরায়
করজোড়ে অবনমিত শরীর,পূর্ণকাম অবগাহনে মেঘলা আকাশ ভাঙে
হাজার মন্দাকিনীর পূণ্যসলিলা স্রোত
ভেসে যেতে চায় যা কিছু সঞ্চয় অনায়াস
উন্মুক্ত বাহু ভোলে বাহুবেষ্টনী
রিক্ততা নিঃস্বতা অনুভূত পাবকস্নানসুখ
তৃপ্ত শুদ্ধ আজ মানবজমিন ।