-
কবিতা- ঈশ্বর ও জীবনবোধ
ঈশ্বর ও জীবনবোধ
– দীপ্তিমান ভান্ডারীতোমার পদচারণে কোজাগরী নেমে আসে
এই গহিন অরণ্যের বুকে।
আকাশে জেগে ওঠে
অসংখ্য অচেনা নক্ষত্রের মুখ;
স্ফটিক বিন্দুর মতো।বনজ্যোৎস্নায় আলো অন্ধকারে
উদ্ভাষিত হয় এক নিগূঢ় বোধ।
সে বোধের মধ্যে কখন নিশ্চুপে
ঢুকে পরে ঈশ্বর…….সেই ভরা নিস্তব্ধতায়
পেয়ে যাই তোমাকে আমি
এই পৃথিবীর পাড়ে;
নির্জনতা চুঁইয়ে নামে শান্তি।এইভাবে মিলেমিশে যায়
ঈশ্বর ও জীবনবোধ।
জন্ম হয় এক অকপট স্বীকারোক্তির
— তোমার হৃদয়ের শুভ্রতার গভীরতমতল
ছুঁয়ে যেতে পারি যদি একবার,
সেই শেষবার
ক্ষয়িষ্ণু আয়ুর প্রান্তে দাঁড়িয়ে আমি
না পাওয়া ঈশ্বরকেও চাইব না আর। -
কবিতা- আবহমানতা
আবহমানতা
– দীপ্তিমান ভান্ডারীযে যায় সে আর ফেরে না।
নিয়মের চেয়ে নিয়তিই
বড়ো হয়ে ওঠে ক্রমশঃ।
পুরানো দেওয়ালে জমে ওঠে শ্যাওলারা।
উষ্ণ হৃদয়ের চেনা গন্ধেরা
ঘুরে বেড়ায় সারাক্ষণ
আমার অবচেতনের মাঝে।
তবু ফিরে আসেনা
চেনা মানুষেরা, আমার এই চেনা পৃথিবীতে।ঢেউএর আঘাতে একদিন
মুছে যাবে জানি সম্পর্কের স্বরলিপি,
রোদ বৃষ্টির সংলাপে আবার
তৈরী হবে নূতনের ইতিহাস।
সেখানে থাকবেনা পুরানোর আবাহন।
এই আমি থাকবো না জানি;
তবু তুমি থেকো মহাকাল
সেই ফেলে আসা সময়ের
একমাত্র সুজন।যারা যাবে তারা আর ফিরবে না
ইতিহাসের উপক্রমনিকায়।
এ বড়ো জটিল হিসাব
নিয়তির দূর্নিবার আবহমানতা।