-
রাত নামাই…
রাত নামাই…
-পবিত্র কুমার ভক্তাসন্ধ্যার অভিসার থমকে গেছে মাঝপথে
ঝড় ধেয়ে এসেছিল মাঠের ওপার থেকে,
কাঁচাপথ, সাইকেলের চাকা লিক করে দেয় কাঁটা
শিহরণ নেমে এসেছিল তোমার ঠোঁটে, সোহাগ মধুর
আমার কবিতা ঝড়ের সঙ্গে জুঝছিল, প্রেমের প্রবাহে
সেই সন্ধ্যা রাত্রিকে নামিয়েছিল নির্জন শিহরণ
বিদায়ের ক্ষণ পিছু ডেকেছিল অপূর্ণ কথন আমার তোমার আঙ্গুল আমার চুলে বিলি কাটে শেষবার।দূর থেকে দেখেছিলাম দুটি চোখ ঝিকিমিকি
এখনো স্পষ্ট তোমার চোখ দেখি, তারা দেখার ফাঁকে
তুমি জানো কি? ক্লান্তির পথে আমি সে রাতকে নামাই
তালে তালে সময়-বৃত্তে ঘুরপাক খাই, ছন্নছাড়া সুখে
কুয়াশারা আসে, ঝড় ওঠে, আমি মুখ গুঁজি কলঙ্কিত চাঁদের বুকে। -
ফ্যাকাশে
ফ্যাকাশে
-পবিত্র কুমার ভক্তাআঁধার আতঙ্ক, ক্ষুধার তীব্র যন্ত্রনায় ফুটপাত
উপোসী, মশার কামড়ে দূর্ভিক্ষের রাত জাগা
বিকলাঙ্গ মনে মৃত্যুপথযাত্রী চাঁদের গায়ে ক্ষত
উদবাস্তু-বিহ্বলতা, পতিতার শীৎকার জমা যত।হায়না, নেকড়ে, পেঁচার ডাকে অশুভ রাত
ক্ষুধাতুর শিশু কাঁদতে কাঁদতে ঘুম, খালি পাত
নির্যাতিতা রমনী, চাষির বিনিদ্রতা, বৃষ্টির টুপটাপ ঝরা
মানুষের কাছে দাঁড়ালেই যন্ত্রনারা দেয় ধরা।তবুও কোজাগরী এলে, পদ্মপাতায় জলের ইশারা
রাতজাগা চোখ রাত জাগে চকচকে প্রত্যাশারা
দেবীর আশীর্বাদে জোছনায় ধুয়ে যাক চরাচর
মেঘ-রোদ্দুরের তফাৎ মুছে যাক বরাবর।