-
কনকাঞ্জলী
কনকাঞ্জলী
-পাপিয়া দেব মিত্রকনকাঞ্জলি দিয়ে বেরিয়ে এলেম বাড়ি ছেড়ে,
নতুন জীবন ,নতুন মানুষের হাত ধরে,
এক বুক কষ্ট, চোখে জলের প্লাবন,
আপন হল পর আর পর হল আপন,
এযেন শিকড় থেকে উপড়ে এনে নতুন করে বোনা,
বুকের ভিতর আর্তনাদের শব্দ যায়না শোনা,
জানি মা বাবার ঋন শোধ হয় না কোনদিনও,
সব ঋণ শোধ করেই নতুন জীবনে আসাই সমাজের নিয়ম তবুও,
নাড়ীর যোগ ছিন্ন করে,নতুন করে ভালবাসা,
এইতো নারীর জীবন, কেহ বোঝেনা চোখের জলের ভাষা,
মনের ইচ্ছা মনেই মিলায়, চোখের জল চোখেতে শুকায়,
শুধু মানিয়ে নেওয়াই জীবনের মূল মন্ত্র যেখানে,
নারী অস্তিত্ব বার বার অনিশ্চিত সেখানে,
যতই করিনা লড়াই সমানাধিকার বলে,
পুরুষশাষিত সমাজেসত্যি কি সম অধিকার চলে?
নারী নারীই, পুরুষ পুরুষই কোনো দ্বন্দ নাই,
হাতে হাত ধরে এগিয়ে চলো সুস্থ জীবন চাই। -
নারী
নারী
-পাপিয়া দেব মিত্র
“না, না আমাকে হত্যা কোরোনা তোমরা,”
মাতৃজঠর থেকে আর্তনাদ শোনা যায়,
“আমাকে ছেড়ে দাও,আমাকে ছেড়ে দাও ,”
চিৎকার শোনা ছোট্ট শিশু কন্যার,
ট্রেনে, বাসে প্রতিনিয়ত খারাপ
স্পর্শে লজ্জিত হচ্ছে নারী,
কখনো বা মদ্যপ স্বামীর কাছে অত্যাচারিত,
এই নারীই কখনো মা, কখনো কন্যা,কখনোও জায়া
কোমল প্রাণ, কোমল হৃদয় ভরা মায়া,
কিন্তু কন্যা জন্ম নিলে বাজে না শাঁখ,
বাবার কপালে পড়ে ভাঁজ,
ধর্ষিতা নারী সমাজে অপাংক্তেয়
ধর্ষক পুরুষকে নিয়ে লজ্জিত নয় কেহ,
কেন এই বিভেদ, কেন এই অবদমন,
নারীরা পাক সম মর্যাদা, সমান সম্মান,
কন্যাভ্রুণ দেখুক পৃথিবীর আলো,
মনের ঘরে লক্ষ প্রদীপ জ্বালো,
সেই আলোতেই দূর হোক সকল অন্ধকার,
বাঁচুক নারী ,পাক সম্মান,পাক অধিকার।