• কবিতা

    দূরন্ত সময়ের সাথে

    দূরন্ত সময়ের সাথে
    -বলাই দাস

     

     

    সকাল হতেই দেখি সূর্য দৌড়াচ্ছে
    সঙ্গে সঙ্গে আমরা সবাই–
    ঊষাকাল নেই, দুপুর নেই
    জীবন ভর শুধু দৌড়ানো
    কেউ বিদ্যাসাগর সেতু পেরিয়ে
    কেউবা রবীন্দ্র সেতু পেরিয়ে
    দৌড়াচ্ছে পোকামাকড়, সমগ্র পৃথিবী।
    উদ্দেশ্যে সকলের একটাই—

    খাইবার গিরিপথ বা হিন্দুকুশ পর্বত পেরিয়ে
    এলোমেলো দৌড়াচ্ছে বুকের সে পাটা
    পালিশ করা শব্দ ভাঙা চাঁদের ক্ষীণ আলো
    গুমরে ওঠে দ্রাস, কার্গিল, পুঞ্চসেক্টর
    ওহমের সূত্রের বিপরীত জন্মকথা।

    একটু বিশ্রাম, নিস্তব্ধতা, স্বস্তির নিশ্বাস….
    যখন পেন্টাগ্রাফ্ ভেঙে দাঁড়িয়ে থাকে লোকাল ট্রেন
    মাঝরাস্তায় ঘন্টার পর ঘন্টা, ফাঁকা মাঠ,
    ঘরে ফেরার দারুণ ব্যাকুলতা অস্থির সময়
    আটকে আছে কালোরাত, ঝিঁ ঝিঁ’র করুণ ডাক
    অসহায় নয়নজুলির শুকনো বাতাস
    জটিল যৌগিক জীবন কিছুতেই মিলাতে পারছেনা
    দূরন্ত সময়ের সরল সমীকরণ।

    তবু দৌড় অনিবার্য, থামবার নয়—-
    কারণ পৃথিবী যে দৌড়াচ্ছে সৃষ্টির
    আদিকাল থেকেই !

  • কবিতা

    পাগলীরে কেউ বুঝেনা মনের ব্যাথা

    পাগলীরে কেউ বুঝেনা মনের ব্যাথা
    বলাই দাস

    শক্ত করে রাখবি ধরে চোখ রাখবি চোখের উপর
    নীল আলাপে উন্মাদিনী কপাল জুড়ে জমছে শিশির
    আমি নয়রে একা নষ্ট , নষ্টখেলা দুনিয়াজুড়ে
    হোক না সে ষোড়শী বা অষ্টাদশী কাঁচা বয়স।

     

    পারবিনা তুই সইতে এসব জ্বালা যন্ত্রণা–শকুন্তলার
    কাঁদতে কাঁদতে ছিঁড়তে পারিস ডিভোর্স পেপার
    পরীর সাথে উড়ছে মন চিড়িয়াখানায় বুক চিনচিন
    অন্তর্বাসের ভাঙলো ঘুম পুলিশভ্যান বুকটা ধড়াস।

     

    আদর করে ভাগ বসালো ভিন গ্রহ আর তেজি সূর্য
    মিলনের পর বন্ধু দুজন হাত মিলালো বনবাসে
    সময়টা ছিল ভীষণ শীতের ঘেমে যায় মনুষ্যত্বও
    এই চুম্বনের রামধনু নগ্নতার আগুন জ্বালায়।

     

    ধানগাছগুলো গর্ভবতী এখন বুঝতে পারছে
    ব্যাঙ কেন সাপের পেটে যায় সব জেনেশুনে
    ইচ্ছে পতন ওই মেঘেদের চোখের পাতা ছুঁয়ে
    পাগলীরে বুঝবে না কেউ তোর মনের ব্যাথা !

     

    কথার মাঝে ছলাৎ ছলাৎ উথালপাথাল ঢেউ
    অপবাদের ঘন্টা বাজায় নগ্ন চাঁদে কেউ
    সত্য মিথ্যায় আওয়াজ ছাড়ে টিকটিকিতে ঠিক
    কলকারখানা চাবাগান আজ ধুঁকছে নেশায় সঠিক।

<p>You cannot copy content of this page</p>