-
আয়না
আয়না
-সঙ্কর্ষণঅচেনা অজানা একটা খিসখিসে বিদ্রূপের রেশ,
নিঃশব্দে ভরিয়ে চলেছে দূর্গের বাতাস।
একটু একটু করে পেঁচিয়ে ধরছে একটা ভয়…
ঠিক অজগরের মতো,
পাহাড়ের কোলে আজও জন্ম নিচ্ছে, একটা নীলচে হিম।নিস্তব্ধতার বুকে কাঁপন ধরানো সে নীরব চিৎকার
প্রতি রাতে আঙুল তোলে কঠিন দৃষ্টিতে,
ফিরে ফিরে দেখায় ঐ… ঐ দাগটা।
ওটা মোছেনা, ওটা ওঠেনা, ওটা সরেনা কিছুতেই,
রাতগুলো চলে যায়, অদ্ভুত এক গ্রহণ রেখে
ধিক ধিক শব্দে ভরে ওঠে আয়নার ওপার,
পেছনে রেখে যায় নির্ঘুম, অশান্ত একেকটা ভোর।তাজা রক্তের ছাপে রাঙানো দুটো হাত
প্রশ্ন রাখে, “কেন, কেন, কেন? “
নিশ্চুপ বিবেকের উত্তরে কালো হয়ে আসে
ইনভার্নেসের আকাশ,
পাথুরে দেয়ালে ছায়ার সাথে
লুকোচুরি খেলেন স্কটল্যাণ্ডের রাণী…
আয়নার ওপারে হিংস্র আতঙ্ক চারিয়ে রাখেন
কোনো এক লেডি ম্যাকবেথ।ঘুম… একটা শান্তির ঘুম চায় চোখ দুটো
হোকনা তা কবরেই… ঠাণ্ডা, নিস্তেজ, নিঃঝুম। -
আগুন
আগুন
-সঙ্কর্ষণঅলি, তুমি কখনো চেঁচিয়ে বলোনি ভালোবাসো…
আমিও কখনো সত্যি-মিথ্যে জানতে চাইনি।
শুধু কর্নেটোর শেষটা আমার জন্য রাখতে দেখেছি।
তেষ্টায় নিজের জলটুকু আমায় এগিয়ে দিতে দেখেছি।
চেঁচিয়ে কখনো বলোনি ভালোবাসো,
কিন্তু তোমার মধ্যে একটা আগুন দেখেছি।অলি, তুমি খালি চেঁচিয়ে বলেছো ভালো আছো…
আমিও কখনো সত্যি-মিথ্যে জানতে চাইনি।
শুধু বাস থাকতেও তোমায় হেঁটে ফিরতে দেখেছি।
পুজোর হাতখরচায় আমাকে খাইয়ে হাসতে দেখেছি।
চেঁচিয়ে শুধুই বলেছো ভালো আছো,
কিন্তু তোমার মধ্যে একটা আগুন দেখেছি।অলি, আমি কখনো ভালো থাকি কখনো খারাপ।
সত্যিটা হয়তো নেহাতই কম, বেশীটাই পাপ।
শুধু জানি, তোমার ভেতরে একটা আগুন আছে
সেই আগুনে পুড়েই তোমার হৃদয় বাঁচে।অলি, তুমি যদি জানতে… হয়তো বা জানোও
আগুন নিয়ে খেলা সহজ নয়…আর আমি আগুনে বড়ো ভয় পাই।
-
গো+এষণা
গো+এষণা
-সঙ্কর্ষণঅসভ্য, ধাঁধালো হাজারো পথ আর…
চেনাজানা ক’টা মশাল ধরার লোক।
আগুনটা এখনো জ্বলছে বুকে, গনগনে আঁচ,
লালচে হৃদয় আর… আমি পথিক।
শুরুটা ঠিক ওখানে নয়, গবেষণাও আছে কিছু।
ফরফর করে পড়া শেষ, তেলচিটে পাণ্ডুলিপি।
কিন্তু কোথায়? হিরো কই গল্পে?
ভালো চাওয়া, ভালোমানুষীতে মন ওঠেনা।
দরকার ম্যাজিক শো, নইলে কীসের পুজো?
চাকা চালানো, মড়া বাঁচানোতেই আটকে ভগবান।
অনন্তের খোঁজে বিষম খোঁজাখুজি রাতদিন,
হাঁটাপথে যদি হাতছানি দেয় কোনো সাধু-পয়গম্বর।
বড়ো লম্বা সময়, পায়ে ধরে সাধা যার তার,
ক্লান্তি অসীম,’এ যে সব রাস্তাই রোমে নিয়ে যায়।’
দরকচা মারা ইচ্ছেগুলো আর চায়না, চলতে চায়না।
ভগাদা তুমিই বলো নেবো কার মত?
“হাসালি পাগলা, এটাই তো অনন্তের পথ।” -
নেমন্তন্ন বাড়ি
নেমন্তন্ন বাড়ি
-সঙ্কর্ষণসুতোয় বাঁধা গল্পগাছা, নেই কমা, নেই দাঁড়ি
জীবনটা এক অন্যরকম, নেমন্তন্ন বাড়ি।নুন মাখানো লঙ্কা লেবু, ছোট্টো ছেলেবেলা
অপেক্ষাটা বিশাল কিছুর, বড়োই মজার খেলা।ডাল, শুক্তো আর খাবনা বড্ড অভিমানী
শুরুর দিকের কিশোরবেলা ফিরবেনা তো জানি।মুরগী, পাঠা, মাছের কাঁটা তৃপ্তি রসনায়,
অ্যাংগ্রি ইয়ং দিনগুলো আর ফিরবেনা তো হায়।মিষ্টিটা তো রিটায়ারমেন্ট, আর পাবোনা ভাই,
পান চিবোনো ফোকলা দাঁতে, এবারে চলো যাই।এই তো গেলো ফুলটু মেনু, লাইফ মানেই হেল,
পরের ব্যাচের তৈরী প্লেয়ার, ভানুমতীর খেল।ইচ্ছে ক্রমেই হচ্ছে বড়ো, মাংসে ফিরে যাওয়ার
গেছে যা গেছে,আসবেনা সে,সময়টা নয় পাওয়ার।শুধুই খাওয়া,নয়কো বাওয়া,চলতি কা নাম গাড়ি
জীবনটা এক অন্যরকম, নেমন্তন্ন বাড়ি। -
মা
মা
-সঙ্কর্ষণএখনও ঘরের কোণায়
পরিপাটি জুতোজোড়ার সাম্রাজ্যে থাবা বসায়নি ঝুল।
কাল অবধিও নির্বিষ থাকা নরম হাওয়াটা
মরুঝড়ের মতো ভারী হয়ে গিলে খাচ্ছে জানলার শিক,
নিশ্চুপ পৃথিবীতে উজ্জ্বলতম অন্ধকারের সঙ্গী
শুধু চাইমের টুং-টাং-টুং।এখনও সময়মতো বিছানায় ঝাড়া পড়ে রোজ।
দোলনার ক্যাঁচকোচে পুরোনো বইয়ের মতো
একে একে জমে থাকে স্মৃতি,
আদরের ক্যানভাসে চোখ ভরে জল নামে
বই মুখে বসে থাকা মেয়েটির।
রূপকথা বলে চলে, “এই আছে, এই নেই…
এই আছে, এই নেই।”ছোটোবেলায় মাথা তুলে দাঁড়াতে শিখিয়েছিলো বাবা।
তাই কখনো চোখ নামেনা তার।
কোমরের বেড়ে দগদগে ঘা হয়ে বেঁচে থাকে
ক্ষণিকের স্মৃতি।
জানলায় উঁকি দেওয়া আকাশও শিখে যায়
“স্মৃতি সততই সুখের।”আজও তাই আদরের ধন বলে রাত জাগে সার্টিনের টুপি।
জন্ম জন্ম ধরে কেউ মাথা কোটে মরণের দ্বারে…
তীব্র অ্যাসিডের মতো ম ম করে ওঠে বেবি পাউডার,
হাতে বোনা কাঁথা চিৎকার করে বলে,
“ওকে ফিরিয়ে দাও, ওকে ফিরিয়ে দাও, ওকে ফিরিয়ে দাও।”
ন’মাস গর্ভে ধরা ঘুমন্ত স্বপ্নের ঘুম ভাঙাতে ব্যর্থ হয় মা।আমাদের ঘুম ভাঙে আরেকটা দুঃখের স্বপ্নে।
-
অচলায়তন
অচলায়তন
-সঙ্কর্ষণচলো তবে… একটা বাড়ি বানানো যাক।
অনেক লোকের থাকার মতো,
বেশ মজবুত দেওয়ালের… টেকসই একটা বাড়ি।
সে বাড়িতে সবার জায়গা হয়ে যাবে।
একটা পরিবারের মতো আমরা থাকবো সবাই।
গাঁথনিতে গোবর লেপে দেবো… না না সিমেন্ট নয়,
স্রেফ তাজা দুর্গন্ধ ছড়ানো কয় খাবলা গোবর।সে বাড়িতে আঁতেলের কোনো জায়গা হবেনা।
ঘরে ঘরে পুষে রাখবো একটা করে বুদ্ধিজীবি।
জ্ঞানবৃক্ষে নতুন সব ফল ধরবে সকাল বিকেলে,
সারাদিন যারা অন্ধকার দেখবে
সন্ধ্যেবেলা বাইরে রেখে আসবো সবকটাকে।
দরজার বাইরে থাকা দু-একটা লোক খবরে আসবে,
মাছির মতো ভিনভিনিয়ে বলবে
“ভিত খোঁড়ো… ভিত খোঁড়ো।”সে বাড়ির বিজ্ঞাপন টিভিতে দিতে হবেনা…
অজান্তে তোমার পেছনে ভিত ফুঁড়ে খোঁচা দেবে শিক।
তারপরে একদিন আকাশ ছুঁয়ে ফেলবে।
হাজার ভূমিকম্পেও এ বাড়ি টলবেনা…
কারণ ভিত খুঁড়ে দেখলে
ঝুরঝুরে মাটির মতো কিছু মগজ পাওয়া যাবে।
কিছু অব্যবহৃত চিন্তার ফসলে গড়ে উঠেছে দেওয়াল,
ভাঙাটা খুব সহজ হবে কী?তার থেকে দেওয়ালে একটা বোর্ড ঝোলাবো।
তাতে কোনো প্যারোডি থাকবেনা,
শুধু একটা আঁতেলের লাইন লিখে যাবো।
কাঠের বোর্ড একদিন পাথুরে হয়ে যাবে ঠিক…
আর পাথরের গা ফুঁড়ে বিজ্ঞাপন হয়ে জেগে থাকবে
“সাত কোটি সন্তানেরে হে মুগ্ধ জননী,
রেখেছো বাঙালি করে মানুষ করোনি।”আসলে প্রতিবেশী তো কম-বেশী সকলেই।
-
ওপারে
ওপারে
-সঙ্কর্ষণচোখ বন্ধ, শুরু হচ্ছে কাউন্টডাউন।
থ্রি, টু, ওয়ান, জিরো তারপরেই… বুম।
চোখ খুলতেই
তুমি পৌঁছে গেছো একটা প্যারালাল ইউনিভার্স।সেখানে
বাক্সের মধ্যে সন্দেশের মতো থরেথরে সাজানো
ইচ্ছেখাতার পাতায় হলদে হওয়া কিছু মূহুর্ত।এখানে
কেউ তোমায় দেখে হাত মেলাতে এগোচ্ছেনা।
তাতে কিচ্ছু যায় আসছেনা তোমারও।তুমি আরোপিত কোনো তত্ত্ব শিখে কবিতা লিখতে বসোনি।
পেন চলছে মাখনের মতো…
মূহুর্তের লিস্টে কোত্থাও জায়গা পায়নি রাইটার্স ব্লক।
সারা বছরে একটাও বই বের না করায়
কোনো পুরস্কার আসেনি তোমার…
ফাঁকা টেবিলের মাঝে খাতার প্রতিটা অক্ষরে
হৃদয় ঠিকরে পড়ছে…
ভালোবাসতেই বুকে জড়িয়ে বন্ধু হয়ে যাচ্ছে কবিতা।তারপরই
হঠাৎ তোমার সাথে দেখা করতে আসছে…
কী ভাবছো, স্তাবক?
না না,
কিছু নির্ভেজাল পাঠক তোমার অতিথি হতে এসেছে,
এদের মিষ্টি নয়, দরকারে থাপ্পড়ে আপ্যায়ন করো।
এখানে দুর্বোধ্যতার জগৎ থেকে কেউ আসেনি,
তারা এই দুনিয়াতেই প্রতিবেশী তোমার…
বিতর্ক নয় আলোচনাই এখানে একজোড়া বিস্কুট।এমন করেই কেটে যাচ্ছে সময়।
ভয় করছে… সেইখানে যাওয়ার ভয়।
বুমের পেছনে তুমি শুন্য ফেলে এসেছো
এ স্বর্গে বাসিন্দা হতে।কবি, তুমি জানতেও পারোনি…
বহুকাল আগেই তোমার মৃত্যু হয়েছে।
-
যাত্রী
যাত্রী
-সঙ্কর্ষণআবারও একটা নতুন সিনেমা…
পুরোনো একটা কু-ঝিকঝিক ভালোবাসার গল্প।
অন্য গল্পগুলোর মতোই এখানেও
একটা হিরো আছে, হিরোইন আছে…
বিছানো আছে অনেক লম্বা একটা উঁচুনীচু রাস্তা।
সংলাপে শুধু ঘটাং-ঘট, ঘটাং-ঘট…
হৃদয় থেকে শব্দ উঠছে কুউউউ-ক্কু।আজন্ম এপথেই আসা যাওয়া এমনই অগুন্তি জুটির।
হাতে হাত রেখে হাসিমুখে ভাগ করে নিচ্ছে দায়িত্ব,
একের পর এক স্টেশন নিশ্চিন্তে পেরিয়ে গেছে প্রেমগাড়ী।বিকেলের থিয়েটারে আমি দর্শক
ব্যর্থ প্রেমের বোঝা ঘাড়ে নিয়ে শুধু দেখে গেছি…
কেমন করে এক হয়ে যাওয়া দু’টো নিজস্বতা
ট্রেনের নীচে ধরে আছে ছোট্টো সংসার,
কেমন করে সারাদিনের ক্লান্তিতে
প্রলেপ হয়ে জড়িয়ে আছে কালিমাখা তারপিন।
খাতাতে উপচে আসে লাইনচ্যুত ক্ষোভ,
ফিরে ফিরে আসি আমি ব্যর্থ প্রেমিক।কিছু গল্প, হয়তো সিনেমা হতেই জন্ম নেয়,
চরিত্ররা… নায়ক।
সেসব গল্প কখনো ফুরোয়না,
কলম গেয়ে ওঠে, “ট্রেনখানি ছিলো মধুপুরগামী… “স্টেশনে শোনা যায়, “এই ট্রেনটি কারশেড যাবে।”
-
ভাত
ভাত
-সঙ্কর্ষণআজকাল ভাতের গন্ধে বমি আসে আমার।
নেশাচ্ছন্ন নোংরার স্তূপ সেজে
একটা খোলা হাইড্রেনের পাশে উল্টে পড়ে থাকি।
পচা মাছের কানকো টিপে বেরোনো রসের মতো
নালাতে ভাতের ফ্যান বয়ে চলে যায়,
বহুদিনের বেরিয়ে পড়া জিভে বিদ্রূপ উঁকি মারে।
কোলাহল অনেক… তবু অনেক স্তব্ধতা।রাতজাগা স্বপ্নের ঘোরে চাঁদের কলঙ্ক দেখি।
অমাবস্যার রাতে কলঙ্কগুলো চাঁদকে গিলে খেয়ে নেয়।
আমি অন্ধকারে সাল-তারিখের ভুলভাল হিসেব সাজাই
আর ভাবি, “পূর্ণিমাগুলো আসেনা কেন রোজ? “থালার মতো চাঁদে আমি রুটি দেখতে চাইনা…
চাঁদ মেখে রোমকূপে জন্ম নিক ক্ষোভ।
আঙুলের ডগা বেয়ে প্রতিহিংসা নেমে আসুক
শিরায় শিরায়… হিংস্র শ্বাপদের মতো
ধারালো দাঁতে টুঁটি ছিড়ে নিই তাদের কবিতাযাপনের,
যারা প্রতি গ্রাসে ভাতের সাথে গিলে খায় চাঁদ,
বিবর জমিনে যারা রাত চষে রোজ।কিন্তু করা হয়না।
একইভাবে সেই নির্জীব একটা প্রাণ,
বিশাল বড়ো একটা নালার ধারে
চেনাজানা আঁধারটাকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে থাকে।
চতুষ্পদী কবির ঊর্ধ্বমুখী প্রার্থনা শুনে
আর কাঁটাও হয়না কেউ,
জোছনার মতো নিশ্চিন্তভাবে ঘুমিয়ে থাকে সবাই।কারণ,
আকাশের গায়ে তো এখনও ভাতেরই গন্ধ লেগে আছে।
-
পদপ্রান্তে
পদপ্রান্তে
-সঙ্কর্ষণপাহাড়ের কোলে নিভন্ত শীতের সন্ধ্যেগুলো
যখন নরম আঁধারের চাদর মুড়ি দিয়ে
কান্না হয়ে নেমে আসে,
মাটির প্রদীপে ভূমিষ্ঠ ঊর্মিমালারা সমবেত কন্ঠে
এখানে গেয়ে ওঠে,”ওম মণিপদ্মে হুম।”পাহাড়ের কোলে পেঁজা মেঘের সাথে
নিয়ত এখানে নির্ভরতা ভেসে যায়।
সাথে থাকে মুক্তির পানে ধেয়ে চলা উচ্চতার
প্রথম সোপানে পা রাখা কিছু মুণ্ডিত মস্তক…
আর থাকে লাল-হলদে কাপড়ে মোড়া কিছু শৈশব,
জ্ঞানবৃক্ষের ফলে যারা উত্তরাধিকারী।ভাবনাগুলো কখন অজান্তেই পার হয়ে যায়
পাহাড়ের কোলে থাকা এক একটা পাকদণ্ডী।
প্রতিটা পাকে আমি পৌঁছে যাই সেই অধরা উচ্চতায়,
ছোট্টো এক একটা পায়ে আমিও কখন
মিশে যাই সেই মহাপ্রাণের পদপ্রান্তে।
যেন… যেন আমিও বহুকালের এক জপচক্র…
যার মুছে গেছে দিক, মুছে গেছে জরা,
শুধু আছে মন্ত্রটুকু… সেই এক, সেই অদ্বিতীয়…
“বুদ্ধং শরণং গচ্ছামি।”, আর আছেন…আর আছেন তথাগত।