মেঘ বৃষ্টি
-মঞ্জু সরকার
হে মেঘ,
বলতে পারো, কোন যাতনায় এমন করে ঝরে পড়ো?
কতো শত বুকের জ্বালা তুমি নিজের বুকে ধরো।
কখনো আর্ত চিৎকার করে ওঠো। বাজ পড়ে এই পৃথ্বীতে
সুরে বেসুরে কথা ফোটে নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়া তানপুরাতে।
আঁধার করা বুক চিরে নিজেকে সাদা রেখায় ফুটিয়ে তোলো।
কেন এমন কাঁদাও ছন্নছাড়া বিরহী-প্রেমিক দলে, তা তো বলো?
এমনি করেই কি ঝরবে কালান্তরে তুমি রিম্ঝিম্ শ্রান্তিহীন?
বিবর্ণ মনের মাঝে নব জলতরঙ্গ বাজিয়ে যাবে রিনিঝিন্ !
নিয়মহীন তোমার ধারা মুছে দিচ্ছে জলস্থলের প্রান্তরেখা।
ঘরবন্দী করেছে সবে, এনে দিচ্ছে বেখেয়াল মনেও চিন্তারেখা।
থৈ থৈ রাস্তাঘাট, ছলাৎ ছলাৎ ছন্দে ভিজে চলা, বেসামাল জন ও যান।
একি, আমাদেরি কর্ম ফলের দিচ্ছো প্রতিদান?
কষ্ট হচ্ছে অনেক।
তবু এসো। উড়িয়ে ভিজে আঁচল
ভিজিয়ে দিয়ো আমার নিরুদ্দেশ মনের কোল।
তুমি এলেই মনের কানাচ ভরবে কোন্ এক কল্পনায়।
জানি না সে কেমন করা, মন মাতানোর জল্পনায়।
সত্যি বলো!
তোমার ধারায় মিশিয়ে রাখো কোন্ আদিমের আগুন?
ঝরলে তুমি, ময়ূর নাচে, প্রেমিক বাঁচে, মনে লাগে ফাগুন।
আমিও হারাই সেই সুদূরে, যেথা হতে তুমি এলে ।
মেঘের বুকে তোমার ঘর, রঙীন স্বপন যেথায় মেলে।
যেথায় মানুষ স্বার্থ ভোলে, নয়ন খোলে, হৃদয় খেলে।
এসো তেমন স্বপ্ন নিয়ে, কাটাই সময় দু’ উষ্ণ ঠোঁঠে।
প্রকৃতিময়তায় জীবনের সুর মিলে এক অনবদ্য সৃষ্টি