বসন্ত উৎসব
-দেবযানী গাঙ্গুলী
আমায় দেখে উলসে উঠে কৃষ্ণচূড়ার ঢেউ
বলল, “এসো, গল্প করি শুনতে না পায় কেউ!
যেই না কথায় কান পেতেছি, চোখ রেখেছি চোখে –
কোকিল শোনায় পঞ্চমে গান, সুরের সাথী দেখে ।
তারই সাথে গলা মেলাই, আহ্লাদে গাই গান —
পলাশ গেঁথে সাজাই খোঁপা, খুশির স্রোতে স্নান ।
তাই না দেখে গাছে গাছে কিশলয়ের দল —
বলল ,”এবার কাব্য হবে, ছন্দ শিখি চল্।
গাছের কথায় উঠল হেসে পাড়ার ছেলে সব
“কাব্য হবে! কাব্য হবে! জুড়ল কলরব ।
যেই না মনের দ্বার খুলেছি, কথায় কথা গেঁথে,
সাঁওতালি মেয়ে কুড়িয়ে কথা ছন্দে নিল বেঁধে ।
মাদল সুরে সাঁওতালি নাচ, মন ভোলানো তাল —
মাতাল এ মন ভাসিয়ে নিল, রইল না আবডাল ।
মরচে ধরা প্রাণের তারে বাঁধন ছেঁড়া সুর –
ফুলের সুখে, পাখির সুখে হাসল সমুদ্দুর ।
বলল, সবাই গাঁথব মালা অশোক পলাশ ফুলে
বসন্ত রাগ ছড়িয়ে দেব মৌমাছিদের কুলে ।
কোকিল, ফিঙে,বনের টিয়াও আসবে দোলের দিন —
নানা রঙের কাব্য হবে, বাজবে মাদল বীণ।
কুঞ্জরাতে জ্বালবে আলো জোনাকিদের সুখ,
ফুল পাখিদের সইছে না তর, আনন্দে উন্মুখ।