কবিতা

এসো হে বৈশাখ

এসো হে বৈশাখ
-অমল দাস

 

 

এসো হে বৈশাখ নব কল্লোলে নব নিত্য উদ্যোগে,

অলঙ্কারীয়ো ভূবন মধু আবরণে পার্থিব নব সম্ভোগে।

চৈতালি রজনী শেষে স্বর্ণালী আভায় এসো পূব প্রাণ-তরে,

নববর্ষ সম্ভাষণে মাঝি হাল ধরো ‘হাল’ খাতার অন্তরে ।

অতীত যাপনের সমস্ত গ্লানি দিও ধুয়ে শীতল প্রস্রবণে,

সকল মননের আঁধার ঘুচিয়ে জাগরীয়ো পুষ্প-কাননে ।

শাঁখে শাঁখে ফল সবুজে সবুজে দিও মুক্ত শ্বাস বাতাসে,

উন্নত শিখর আরোহীরে -ভাসিও নিঃসীম নীলাকাশে ।

 

এসো হে বৈশাখী নবীন আলোকে নব নবীন সমাহারে,

প্রণোদিত হোক সৌহার্দ্যে -মৈত্রীজাতক দিও ধ্বংসের আঁতুড়ে।

নব সঞ্চারে শ্বেত বালুতট দিও যা গেছে নীল জলধি গ্রাসে,

শিশুরে দিও জীবন্ত প্রাণ যা কবরের পথে বিষাক্ত সন্ত্রাসে।

নবজাগরণের উন্মেষ ঘটুক কালকেতু ত্রাস উদ্ভ্রান্ত সমাজে ,

ধর্মের উস্কানি মিথ্যের রাহাজানি নিপাতিও সৃষ্টির কাজে ।

নদী বয়ে এনো মরু ময়দানে উত্তাপ অতি ভালোবেসে ,

গহীন নিশুতি পথ আলোকিত করো উজ্জ্বল চন্দ্র আবেশে।

 

এসো হে বৈশাখ এসো জ্ঞান ভাণ্ডারে এসো শাশ্বত পদচারণে,

উল্লাসে উচ্ছ্বাসে গতির প্লাবন আসুক বাংলার মাধুরী আননে।

ধূলি পথে চেনা রথে সোঁদা সুবাস এনো সাথে সঙ্গীত রাগ,

বাঙালী অন্তরে বসতি গড়ো হয়ো না বাঙালীর অননুরাগ।

দহনের বেলা শেষে কালবৈশাখী রূপে দাপিয়ো তুমি সানন্দে,

শোণিত ভেদ ভুলে লহু ক্রীড়া ত্যাগে সকলেরে মাতিও আনন্দে ।

শৈলী রোপিত হোক বীভৎস ইতিহাসে  শেষ যবনিকা টেনে,

এসো হে বৈশাখী নবীন তন্বী রূপে নীলাচল ছড়িয়ে মুক্ত গগনে।

Loading

2 Comments

Leave A Comment

You cannot copy content of this page