কালবৈশাখী
-অমল দাস
মেঘার আঁচল ধরে টান দিয়েছে
বৈশাখের তপ্ত দুপুর বেলা,
রণংদেহি মূর্তিতে সে আসছে ধেয়ে
সাঁঝে, বুঝবি কেমন ঠ্যালা।
মেঘার শালীনতার মান ভেঙেছে
ধ্বংসী ঘূর্ণি দিয়েছে ছেড়ে,
হয়তো পাপের কাণ্ড গুঁড়িয়েই দেবে
বিস্তৃত অঙ্গের আঁচল ঝেড়ে ।
ঘন আলুথালু কেশ ছড়িয়েছে তার
নিকষা পশ্চিমাকাশ জুড়ে ,
রোষে! ঐ দেখ ঐ যাচ্ছে ভেসে
কারো খড়ের চালা উড়ে।
শুনি দৃঢ় মর্মর্মর্ শব্দ ধ্বনি
ভাঙছে প্রকাণ্ড বৃক্ষ ডাল,
আজ নদীর জলে শাপ লেগেছে
স্রোত ছল-ছল উত্তাল ।
অম্বরে ঐ গুরুগম্ভীর ডঙ্কা বাজে
ক্ষোভে চকিৎ বিদ্যুৎ ঝলকানি,
বারির ধারায় শোধন হবে আজ
শতকের যত তপ্ত কাহিনী ।
ভয়ে সব ভীত জীব সন্ত্রস্ত আলয়ে
শান্ত মেঘার হয়েছে রক্ত আঁখি,
আজ তেজস্বী প্রলয় প্রবাহ পরে
ধরা নিস্তব্ধ করবে কালবৈশাখী।
ছন্দময় কালবৈাশাখী আহ্বান। শুভেচ্ছা কবি
ধন্যবাদ প্রিয়
অসাধারণ অভিব্যক্তি কবি।
খুব ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ প্রিয় – অমল