নিয়তির দ্বার
অমল দাস
একটি অলিখিত কিতাব রয়েছে রচনায়
প্রতিটি অক্ষরে লেখা এক একটি প্রাণ,
সময়ের ফাঁদে পা ব্যর্থতার শেষ ডাক
সজ্জিত আয়ুষ্কাল এলোমেলো ছিন্ন বিতান।
নিয়তির খাতা অস্তিত্বহীন চিন্তনে মুদ্রিত
স্রষ্টার সৃষ্টের প্রতি কঠোর আইনি ফরমান,
নিজ ব্যর্থতা বা অদৃষ্টের খেলা অভিন্ন ফল
রঙ নেই সকলের’পরেই চলে তার অভিযান ।
ভাবনার জলাঞ্জলি হিসাবের কাটাছেঁড়া শূন্য
সুক্ষ্ম গলদ নিয়তির কোষাগারে হয় জমা ,
এক অঘোষিত নিয়মের বৃত্তে আমি আমরা
লঙ্ঘনের স্পর্ধা স্পর্শ করে যায় চরমসীমা ।
কাঁটাযুক্ত সরু আলপথে চলাচল আমাদের
ভারসাম্যহীনতায় পতন লিপিবদ্ধ সমাধান,
লৌহ কপাট নেই -নেই পদে শৃঙ্খল বেড়ি
সদা হাস্য নিয়তির হাতেই শাস্তির বিধান ।
লোভে প্রলুব্ধ অন্যায়ে চুপ তীব্র গতি সাথী
স্বীয় বিফলতাও ঠেলে ফেলা নিয়তির ঘরে,
স্ব-মহিমায় বিরাজিত এ অদৃশ্য নীতি শাশ্বত
আমাদের ইহকাল বাঁধা আছে নিয়তির দ্বারে।
‘নিয়তির দ্বার’এ বাঁধা আছি সবে
নিয়তির বাণীও অমোঘ এ ভবে
সন্ত্রস্ত মনের নিয়তির হাতছানি
জীবনের কাছে যে সত্য কাহিনী।
কবির লেখনীর অপার প্রগাঢ়তায়
মন ছুঁয়ে গেল অসীম মুগ্ধতায়।
ধন্যবাদ অপার মুগ্ধতা প্রিয়