আশ
-রুদ্র প্রসাদ
আসবে কি…সবকিছু ফেলে আজ ???
অশান্ত বুকের জমিতে আছড়ে পড়তে !
তারায় আগত মরণের অপেক্ষা অতীত,
ধৈর্য আর নেই, নাড়ির গতি ক্রমশ ক্ষীণ,
স্ফূরিত অধর এবার সিক্ত করার পালা,
পেশী শিথিল, মস্তিষ্ক মৃতপ্রায় – বোধশূন্য ।
দরকার এবার একটা বিধ্বংসী ঝড়ের ;
খড়কুটোর মতো সব উড়ে যাক চারদিকে,
আছে যত বিভেদ আর বৈষম্য, ঘুচে যাক,
অপলকে উপগত হোক ছায়া আর কায়া ।
মিলেমিশে একাকারে বিলীন পঞ্চভূতে,
পুঞ্জীভূত হোক নবজীবনের পদসঞ্চার ;
দিকচক্রবাল কালো করে খুব মেঘ উঠুক,
অঝোরে ঝরে পড়ুক পরম শান্তির বারি,
ভেজা মাটির সোঁদাল গন্ধে মিশে যাক,
আনন্দের আদিমতার সুবাস মেশা ঘাম ।
ঊষর ধূসরে ফিরুক সবুজ প্রাণের ছোঁয়া,
অক্লান্ত কর্ষণে ছিন্নভিন্ন হয়ে যাক ভূমি ।
পিচগলা রাস্তায় নামুক নিকষ আঁধার,
অশনি চমকে পুলকিত হোক স্নায়ুতন্ত্র ।
বাসন্তী রঙে রাঙা হোক সারাটা আকাশ,
মনে লাগুক জীবনের চেনা বেহাগ সুর,
অস্বস্তি কেটে উচ্ছাসে জাগুক প্রেম ;
সম্ভাবনাময় বীজগুলো হোক নিষিক্ত,
স্ফূর্তিরা খুঁজে নিক রুদ্রের দীপ্ত প্রকাশ ।
বাউলা বাতাসে বয়ে যাক উদাসী মন,
আসুক চরাচরে সেই পূর্ণতারই আশ্বাস ;
বৃষ্টির উচ্ছ্বসিত ধারাপাত বেগে মাতুক,
নির্ঘোষ নিনাদে পার হোক ফাঁকা দুপুর ;
বর্ণমালা আজ থাক না শালপাতায় ঢাকা,
শুধু অন্ধ পরশেই চেনা হোক অলি-গলি ;
ইচ্ছেতেই পুকুরের জলে ঢিল ছুঁড়ে দেখা,
কেঁপে কেঁপে উঠুক শীৎকারে ভরা যৌবন,
ভ্রূণের পরিস্ফুটন হোক মাদকতায় ভরা,
না বলা কথার মাঝে নেমে আসুক সন্ধ্যা ।
জলোচ্ছাসের তীব্রতা নিয়ে ভাসিয়ে দিক,
বাঁধভাঙা প্লাবনে হারিয়েই যাক দু’কূল ;
ধুয়ে যাক ক্লেদ, কর্দমাক্ত আবর্জনা যত,
পদে পদে না পাওয়ার সব বেদনা নিয়ে,
মনের কোণায় জমা হাহাকার – সবসমেত,
ছন্দোবদ্ধ ওঠাপড়ার তালে তালে চলুক,
প্রয়াসী শঙ্খজোড়ের উদ্যমী সমুদ্রমন্থন ।
আগুন পুড়ে ছাই হয়ে যাক তৃপ্ত আবেগে,
সুধাসিঞ্চনে ভরা থাকবে সঞ্চারী প্রাণ-মন ;
জাগতিক না সামাজিক – নিয়ম বেয়াড়া,
সচেতন অবচেতনে দ্বন্দ্ব চিরকাল, তবুও –
অবোধে ঘোরলাগা মনের কোনও কোনায়,
ডালি সাজিয়ে গোপনে জেগে থাক ‘আশ’।।
দারুণ শব্দ চয়নে পূর্ণ কবিতা
ধন্য যোগে কৃতজ্ঞতা সতত প্রিয়বন্ধু…।
সুন্দর লেখনী
ধন্য যোগে কৃতজ্ঞতা সতত…।
দুর্দান্ত লেখা রুদ্র…..শুভেচ্ছা ।
দেব চক্রবর্তী
ধন্য যোগে কৃতজ্ঞতা অশেষ…।