সর্বহারার দেশ
-অমল দাস
এদিকে প্রচণ্ড বৃষ্টি ওদিকে শিশুর কান্না,
বাঁধের গায়ে জল থৈথৈ মাথায় চিন্তা বন্যা।
দেশ চোখের জলস্রোতে মাটির গ্রথন ধুইছে,
অন্তরের কত রক্ত নিয়ে আমার গঙ্গা বইছে।
খুঁটিতে পুজোর গন্ধ প্রতীক্ষার দিন কমছে,
কার প্রভুত্ব বেশি দেশে সেই তরজা চলছে।
নর্দমার নালায় জমে উদ্বৃত্ত মহোৎসবের অন্ন,
অভুক্তরা অভুক্তই তারা মানুষ বলে নয় গণ্য।
সীমানায় সীমানায় দ্বন্দ্ব মাটির একই গন্ধ,
ধর্মের ছোঁয়া লাগেনি তাই হয়নি বাতসা বন্ধ।
সাফাই করতে নেমে সব দূর্বা ঘাস তুলছে,
গাছের গোঁড়া উঠোনে তবুও সে ডাল কাটছে।
সর্বজ্ঞানীর দেশ ওদের নেই তো কোন রাজা,
বন্য হওয়াই ভালো ছিল মানব জীবন সাজা।
পাখিদের ন্যায় ডানা যদি পেতো মানবজনা!
বারুদ আর কাঁটাতার কি করতে পারত মানা ?
মেঘের বিস্তীর্ণ বিচরণ হাসছে খেলছে বেশ,
তেমন নির্জন কোন দ্বীপ হোক সর্বহারার দেশ।
মন যে হলো বাক্যহারা
কপোল জুড়ে অশ্রুধারা
লেখনী জুড়ে রূঢ় বাস্তব
কতোদিন আর কাঁদবে মানব
‘নির্জন দ্বীপ’ আশা জাগায়
সর্বহারার ব্যথা ভোলায়
সবাই যদি ভাবতো এমন
সুন্দর হতো মানব জীবন
সবাইকে ভাবিয়ে তুলতে হবে আমাদের তবেই যদি সম্ভব হয়, ধন্যবাদ বন্ধু।