কবিতা

গোপাল

গোপাল
-অযান্ত্রিক

পাথরের গায়ে দুধের গন্ধ মাখামাখি,
খিদেগুলো কিন্তূ জানেনা যুদ্ধের কথা।
অচেনা মুখগুলো, গোপাল বলে ডাকি,
খাদ্য চায় না, সব খাদকের নৈতিকতা।

 

পালনেতে আছি, তিথি মেনে উদযাপনে,
মালপোয়া ,যেভাবে মেটাতে পারে না ঋণ,
কিছু জন্ম যেন অযথা শরীরের প্রয়োজনে,
করে যায় তেজারতী, বলে জন্মাষ্টমীর দিন।

 

ওরা জানে খিদে, পেট ভরাতেই হবে প্রতিদিন,
মন্ডা মিঠাই ,কে আর সাজাবে ওই থালায়,
উপলক্ষে উদযাপন হয়, আদপে দৈবতাহীন,
বৈষম্য ,ছেড়া জামা পরে দরজায় দাঁড়ায়।

 

রোজকার কত শত কচিমুখ, দেখছি পথপাশে,
ওরাও হাসে, ওরাও কাঁদে, যেভাবে খিদে পেলে,
দু হাতে আঁকড়ে ভালোবাসা পাঁচ কিংবা পঞ্চাশে,
সব শিশু জানি আসলে দেবদূত, বিধাতার ছেলে।

 

হোক না এবার,কিছুটা অন্য তিথি যাপন,
হোক না এবার মানুষ বিধাতার জন্মদিন।
একবার করে শিশুদের মুখগুলোকে আপন,
গোপাল বলে একবার বুকে জড়িয়ে নিন।

 

জানি না তাতে বিধাতা হবেন কিনা তুষ্ট,
জানি না অপার করুণা পড়বে কিনা ঝরে!
জানি ,আমি ,তুমি ,ওরা সকলেই তার সৃষ্ট,
যদি পারি ,মানুষ বলে মাথা তুলতে অহংকারে।

Loading

Leave A Comment

You cannot copy content of this page