কবিতা

কুসংস্কারাচ্ছন্ন

কুসংস্কারাচ্ছন্ন
-শচীদুলাল পাল

 

 

পেঁচার ডাকে অশুভ শকুনির ডাকে মরন,
হঠাৎ আসবে বিপদ কাক ডাকছে এখন।
কোকিল ডাকলে কুটুম আসে মিষ্টি হাতে নিয়ে,
বৃষ্টির মাঝে রোদ হাসলে শেয়াল মামার বিয়ে।
সত্যি হয় কথা তোমার আমার টিকটিকির ডাকে,
বউ পাগল হয় যে ছেলের ঘাম ঝরে নাকে।
পিছন থেকে ডাকলে কেউ অশুভ হয় যাত্রা,
ত্র‍্যহস্পর্শ যোগে ঘরের বাইরে সবই অযাত্রা।
বসতে মানা বালিশে,ঘরের চৌকাঠে,
কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা আসে চুলকালে ডানহাতে।
বিড়াল কাটলে রাস্তা পারাপার মানা,
খড়মের মতো পা হলে সুন্দরি কনেও মানা।
ব্যঙের ডাকে বর্ষা,মুরগীর ডাকে ভোর,
কুকুরের ডাকে পগার পার চোর।
বর যদি লগ্নে না আসে কনে লগ্নভ্রষ্টা,
কনে থাকবে অনুঢ়া সমাজপতির বিধানে সমাজবিধান স্রষ্টা।
নজর এড়াতে শিশুর কপালে কালো টিপ,
ডাইনিরা সাবধান পায়ে বাঁধা লোহার ঢিপ।
রসুন পেঁয়াজ আমিষভোজন বৈষ্ণবদের মানা,
ডিম-দুধ জৈবিক খাদ্য তবু ডিম খাবেনা দুধে নেই মানা।
ঝাড়ু ঝাঁটা,এঁঠো কাঁটা দেখে বাইরে বেরবেনা,
শুন্য কলসি দেখে বেরনো অবশ্যই মানা।
রানী হবে পড়লে টিকটিকি মাথায়,
পড়লে পায়ে দেশ বিদেশ ভ্রমন কে আটকায়।
বিষাক্ত সর্পদংশনে ঘরে আসে ঝাড়ফুকের ওঝা,
মরে গেলে কালের নিধান বলে ঝেড়ে ফেলে বোঝা।
হেলুসিনেসন,ভর,মানসিক রোগ বা পাগলামি।
ওষুধ ছেড়ে ঝাড়ু হাতে আসে ভুত ছাড়ার তান্ত্রিক দামি,
জ্বরে পেট ব্যথায় খাওয়াই জলপড়া,
বাড়াবাড়ি হলে সমস্যায় ডাক্তারবাবুরা।
ভাঙা আয়নায় মুখ দেখা সবাই জানে মানা,
কুসংস্কারে সবাই আজ চোখ থাকতে কানা

Loading

One Comment

Leave a Reply to AnonymousCancel reply

You cannot copy content of this page