কবিতা

“অক্ষত নেই”

“অক্ষত নেই”
-সুমিতা পয়ড়্যা

 

 

চিঠিগুলো আর অক্ষত নেই, সবটা হয়েছে নাশ
সর্বভুকই করেছে তাদেরকে গ্রাস।
মধুর স্মৃতির পাহাড়ে উড়িয়েছে ছাই
পোড়া গন্ধের সুঘ্রাণ আজও পাই;
একসময় চিঠিগুলো উচ্ছ্বাস বয়ে আনত গভীর সুখে
এখন শুধুই স্বপ্ন দেখি পোড়া চোখে।
তনু-মনে বাজত ছিন্ন বীণার সুর
কেবল হাসিতে-খুশিতে হাসনুহানা ছুটত বহু দূর!
ঐ চিঠির অপেক্ষাতেই কেটেছে প্রহর বেলা
ঐ মুহূর্তে কত ভাসিয়েছি ভালোবাসার ভেলা।
সাদা ক্যানভাসটা পূরণ করতে কিছুটা লিখব ভেবে
সম্পর্কটাকে বাঁচিয়ে রেখে লিখছি চিঠি ভাবের ভাবে।
স্বপ্নগুলো সত্যি করতে আপন মনে চলছি ভেসে,
মরূদ্যানে ফুল ফোটাতে এসো না পাশে হেসে হেসে!
লেখো না কেন সেই হাসনুহানার গল্পকথা;
বৃন্ত হতে তুলে দিয়ে-দিয়েছিলে চরম ব্যথা।
চিঠিগুলো আজ অক্ষত নেই,অধরা
তবু অনুভবে আছে অনুশোচনায় আধমরা।
স্বলবয়সের কাঁচা বুদ্ধিতে ভাষা ছিল দুর্বোধ্য—-
তবু ছিল ভালোলাগা ভালোবাসা অনবদ্য।
আর ছিল কত না আলাপন বিনিদ্র রাতজাগা,
গন্ধে-বর্ণে-স্পর্শে কত শত সোহাগ মাখা;
হারিয়ে ফেলেছি নীরব ভাষাগুলো আপন আপন ভুলে
ভেসে গেছে সব সোঁদা গন্ধে আর নোনতা জলে।
চিঠিতে লেখা শব্দেরা হয়েছে বিস্ময়ে অন্তর্ধান,
ইচ্ছে করেই হারিয়ে ফেলেছি অভিমানে করছি সমর্পণ।

Loading

Leave A Comment

You cannot copy content of this page