“গাছের মুক্তি”
-দীপালী পাল
ফ্লাটের ঘরের ব্যলকনিতে টবের একটা লেবু গাছে,
ছোট ছোট দারুণ সুন্দর সবুজ রঙের ফল ধরেছে–
গাছের মালিক নিয়মিত গাছটিকে ভীষণ যত্ন করে,
বাড়ছে গাছটা, হেলে দুলে পুষ্টি পাচ্ছে রাসায়নিক সারে!!
গাছটি বাঁচে টবের মাটির অল্প সীমার ঐ পরিসরে
বাগানের অসীম মাটি, জল, পেতে তার খুব ইচ্ছে করে–
অনেক হাওয়া অনেক আলোর নির্মল তাজা মিষ্টি ঘ্রাণে,
গাছটা বাঁচতে চায় নিঃশ্বাস প্রশ্বাসে নিজের খুশি মনে–
বাগান ছাড়া আর কোথায় আছে মিষ্টি মিষ্টি পাখীর ডাক?
গাছের মালিক বলেই খালাস,” এই এভাবেই শান্ত থাক,
আমার ব্যলকনিতে তোলা জলে পাবি তুই অনেক সার,
ডালপালা ছাড়বি তুই ফলে ফলে হয়ে যাবি একাকার”
গাছটা বলে “মাটি,আকাশই চাই, চাইনে সার চাইনে,
পারলে আমায় পুঁতে দিও তুমি সামনের খোলা বাগানে,
আমি মাটির কোলে মায়ের ঐ স্নেহের শান্তিআঁচল চাই,
তোমার ছোট আকারের টবে স্বাধীনতার স্বাদ কি পাই?
আমার শিকড় টেনে নেবে মাতৃদুগ্ধ মাটির পুষ্টিজল,
সূর্যালোক পাবো প্রকৃতি থেকে,জন্মাবে তাজা সতেজ ফল,,
আমায় মুক্তি দাও তুমি এবার রেখে এসো মাটির কাছে–
শেকড় ছড়িয়ে বাঁচার আনন্দ প্রকৃতি মার বুকে আছে।।