পাখির জীবন ও মনুষত্বের লজ্জা..
-তোফায়েল আহমেদ
ঘর নাই বাড়ি নাই, এতবড় সুন্দর দুনিয়ায়
গাছের ডালে ডালে তারা ঝুমায়,
পাখিদের কন্ঠ কলকাকলিতে সন্ধ্যা আসে
অবহেলায় বিছানা ছাড়া ঘুমায়।
ভোরের কন্ঠে সৃষ্টিদের ডেকে বলে যায়
সবাই, ঘুৃম থেকে উঠো!
মসজিদে নামাজ পড়ে পবনে সু-স্বাস্থ্যের
জন্য বন্ধুরা কিছুক্ষণ হাঁটো।
পাখির কৃতজ্ঞতা এক বিধাতার পরে করে
এই মায়ার যুদ্ধ জগতে,
রিযিকের মালিক আল্লাহকে ডেকে ডেকে
মাঠে যায় আহার করতে।
পাখিরা ও সংসার করে, প্রকৃতির সবুজে
গোপনে করে আপনে যাপন,
কত স্বপ্ন পাখিরা ও দেখে, আশা ভবিষ্যতে
ঘুরায়, পবিত্র তাদের মনন।
পাখিদের দুঃখ ব্যথা মান- অভিমান আছে
ভালোবাসার ঘর উড়ে, কত ভাঙ্গন,
দৃষ্টির রোদনে কষ্টের বৃষ্টি ঝরিয়ে আকাশে
সুধায়, আমি শুনেছি পাখিদের ক্রন্দন।
মানুষের মত তারা অকৃতজ্ঞ নয়, বিশ্বাসী,
চলেনা মন্দে, মোহ, স্বার্থের লোভে,
মন জয় করে তারা বন্ধুত্ব করে,গহীন বন,
পাখিদের নিরাপদ,জন্ম মৃত্যুর ভবে।
রোদ বৃষ্টি, ঝড়- তুফান মাথায় নিয়ে তারা
যাপন করে,কারো অভিযোগ নাহি স্বরে,
কচি মাংস খেতে ফাঁদ পেতে পেতে তাদের
কত অমানুষ আছে,ডানা ভেঙ্গে ধরে।
বাসা বানায়,সাথীকে নিয়ে থাকার আশায়
যৌবনের রসায়নের মধু স্বাদ মিটায়,
পাখিরা চর্মের কর্মে, টুকিয়ে, টুকিয়ে লম্ফে
খায়, সংসার সাজাতে পতিকে বুঝায়।
আকাশের পথে উড়ে উড়ে খাদ্যের সন্ধানে
দল বেঁধে দৃষ্টির বহু দূরে যায়,
মা, নিজে আগে খায়না শিশুদের চুমো দিয়ে
মুখে মুখে আদর করে খাওয়ায়।
পাখির জীবনে অর্থকরি লাগেনা, এই সৃষ্টিরা
কারো ক্ষতি,মিথ্যে বলেনা, সত্যের গান গায়,
মানুষ শ্রেষ্ঠ জীবন পেয়ে পথভ্রষ্ট, মানবতাহীন,
নিষ্পাপ ক্ষুদ্র পাখির কাছে মনুষত্ব লজ্জা পায়।