পৃথিবী ও সৃষ্টি
-তোফায়েল আহমেদ
বসুন্ধরার প্রাকৃতিক পরিবেশে স্রষ্টা সৃষ্টি করেছেন আঠারো হাজার বিচিত্র চরিত্রের জীবন,
শ্রেষ্টত্ব উপহার দিয়েছেন মানুষ জাতিকে ভালোবেসে
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে আছে যারা সুজন।
অবারিত সুন্দর প্রাকৃতিক সবুজে ঘেরা পরিপূর্ণতায়
মানুষের চলে সামাজিক যাপন বিচরণ,
বিনয় সভ্যতা সহনশীলতা শ্রদ্ধা মায়ার ভালোবাসায়
সৃষ্টি সৃষ্টিতে করতে সত্যায়িত আচরণ।
জন্মের আগেই মানুষের সৃষ্টি,জন্মটা ধারাবাহিক কৃষ্টি
চলে আদমের নিবাস সংসার বসবাস,
পরমাত্মা আত্মা মন দিয়ে দেহের আকার নির্মাণ করে
এখানে চালায় মানব ফসল চাষাবাদ।
সৃষ্টির প্রারম্ভিকেই এই ধারাবাহিক জীবনের উদয় ও অবসানের স্রোতের চক্রের সম ঘুরছে,
কে কি করছে সব ক্যমেরাবন্দি,লিখিত দলিল,ভিডিও,
বিধাতার নিয়োজিত অদৃশ্যরাই করছে।
ইচ্ছার স্বাধীনতা একমাত্র মানুষ পেয়েছে কথনে চলনে
ও চর্ম কর্মের এই ক্ষণিক দুনিয়ায়,
কিন্তু,ভব যাপনে অর্থ লাগে, তার পিছু পিছু ঘুরে ঘুরে
ইচ্ছা শিকার হয় প্রকরণী মায়ায়।
মৃত্যু অবধারিত সত্য, সবাই অবগত,শয়তান এসে পাপ কাজ করতে বাস্তব ও স্বপ্নে উৎসাহ দেয়,
অন্তরের দখল ছাড়া সব জায়গাতে তার দাপটি খেলা
চালায়, সুন্দর সৃষ্টিগুলোকে বিপথে নেয়।
কি অদ্ভুত জীবন,ভবের যাপনে করতে হয় যুদ্ধ,পাপ করায় একজন, অপরাধী আরেকজন,
এপারের টানে ওপার হারায়, জীবন চলে মধু মায়ায়
ছায়ায়,সুজন ব্যস্ত নিয়ে রসিক ভোজন।
এখানে সবাই রসিক রসায়নের আলাপ করে পৃথিবী
নামক খেলাঘরে কানামাছির খেলনা খেলায়,
হেলায়- অবহেলায়,বেলায়- অবেলায়,শালায়- শালায়
ভেলায়- ভেলায়,আসল ভুলে নকলের মেলায়।