কামুক দৈনন্দিনতা
-রাণা চ্যাটার্জী
তোমার তর্জনী কখন আমার অনামিকা ছুঁয়ে দিব্যি ভাব জমিয়েছে ভিড় বাসে খেয়ালই করিনি ,
সম্বিত এলো হেড়ে গলার কন্ডাক্টরের গুঁতোয় ।
এক রাশ দম বন্ধ করা ঠাসা ধর্মতলা মিনি তখন,
ওভার টেকের খেলায় আপন খেয়ালে ।
পেছনের চাপে অনুভবের আঁশটে গন্ধ আমার
চোয়াল শক্ত করে তুলেছে,
হাঁফিয়ে উঠছি আমি ,এ কোন সমতার বিচরণ ভূমি,
মানুষ রূপি চারপেয়ের আচরণ ততক্ষনে আঙ্গুল ছোঁয়ায় আমার নিতম্বের মাপ নিতে উদগ্রীব ।
নীরবে কাজ সারার অন্যমনস্ক ভাবলেশহীন চাহনি,তাকে গিরিখাদ , উপত্যকায় অবগাহন খেলায় মাতিয়ে রেখেছে হেড ফোনের সুরে ।
বিষাক্ত আচমকা ছোবল , ঘৃণার মিছিল ছড়িয়েছে আমার শরীরের শাখা প্রশাখায়!
তবু বড়ো বিধস্ত আমি আজ ,সৃস্টি কর্তা কেড়ে
নিয়েছে প্রতিবাদের ভাষা টুকুও !
পি জি হাসপাতালের বেডে ছটফট করা মা কে ,
দেখতে আসা আমি মফস্বলের শান্ত নিরীহ তন্বী ,
পাশে দাঁড়ানো বটবৃক্ষ বাবার বয়স যেন বেড়ে গেছে এক লহমায় !
বাবাকে শক্ত করে চেপে ধরা হাত আর অন্যদিকে পাশবিক লোমশতা সঙ্গী করে ট্রেন ধরার উদ্দেশ্যে ছুটে চলি কিশোরী মনের স্বপ্ন দলানো আমি স্বত্তা!
ভালো থেকো তিলোত্তমা , পাশবিকতায় নয় ,
মনুষ্যত্বে বাঁচো ,স্নেহ ,শ্রদ্ধা ,ভালোবাসার
অবগাহনে পথ দেখাও ।
বাহ