পাওনা
-সত্যদেব পতি
আজকে আমার মেঘলা আকাশ বসন্ত সকালে,
তোমার দেওয়া বার্তা পেলাম যখন তুমি গেলে!
নীল খামেতে কান্না ভেজা কথার ছিল রাশি;
কান্না তোমার বাজলো কানে রাখালিয়া বাঁশি।
যেদিন তুমি চলে গেছো সজল চোখের পাতা,
নীরব হয়ে ছিলাম বসে নিয়ে বুকের ব্যাথা!
স্বজন সাথী সবাই মিলে বোঝায় কতো ভাবে-
একলা আমি নীরব নিথর তোমার অনুভবে।
আপন কাজের অছিলাতে সবাই গেল চলে-
একলা বসে সেদিন থেকে ভাসছি নয়ন জলে,
হঠাৎ কখন চমকে দেখি নিশীথ স্বপন ভাঙা;
রাত নির্ঘুম পাগলের মতো দু’ চোখ হয়েছে রাঙা।
সকালের উষা উজ্জ্বল নয় মেঘের শাসনে ঢাকা”
আমার হৃদয় মর্মে মরিছে তুমি হীন আমি একা-
কানে শুনি আজো নুপুরের ধ্বনি বাজে কঙ্কন রনি,
কখনো আবেশে দু’চোখ মুদেছি যদি সেই ডাক শুনি।
পথ প্রান্তে ফেলে গেছো তুমি আপন বক্ষে হোতে!
আমি ধূলা পরে এখনো কাতর বাহিত জীবন স্রোতে ;
আমি অভাজন মাণিক রতন হেলায় হারিয়ে কাঁদি,
যদি আসো ফিরে এ নদীর তীরে এবার রাখিব বাঁধি।
শুধু ছিল প্রেম আর ভালো বাসা যত্ন ছিল না মনে,
তাই চলে গেলে আমাকে না বলে সেদিন সন্ধিক্ষণে!
ক্ষণিকের ত্বরে নোঙর করেছো আমার শুকনো ঘাটে-
আসিয়া জোয়ার করিল প্রমাদ জল ভরে দিলো মাঠে,
সোনার ফসল সবই গেল ডুবে পচন ধরিলো নীচে,
শুধু হা হুতাস সিক্ত বাতাস পাওনা হলো না সেচে।
আমি আপ্লুত হলাম খুব উৎসাহিত
🙏🙏