কবিতা

ভাগের মা

ভাগের মা
-সম্পদ দাস

ন’মাস ধরে, কাতরে মরে,
সহ্য করেছিলাম প্রসব যন্ত্রণা।
আজ তিন ছেলের ঘরে, পালা করে,
আমার বিসর্জনের চলেছে মন্ত্রণা।।
মেরুদণ্ড আমার নেই যে সোজা,
তাই তো হয়েছি এ সংসারের বোঝা,
আমি যে এখন সবার ভাগের মা।
বড়ই দায় মাথা গোঁজা,লক্ষ্য আমার মৃত্যুকে খোঁজা,
এখন ছেলে বৌ দেখছে সাপের পাঁচ পা।।
আজ ঘরেতে আমার ঝুলছে তালা,
চার মাস করে তিন ছেলের পালা,
লাঞ্ছনা আর গঞ্জনায় বাঁধে বুক।
মাতৃত্বের বড়ই জ্বালা,
হৃদয় যে আজ ফালা ফালা,
আমার উপস্থিতিতে ছেলে বৌ এর ফ্যাকাশে মুখ।।
জানি না এ কিসের রাগ,
অথচ আমার পুত্রস্নেহের তো ছিল না ভাগ,
তবে কেন আমার প্রতি এমন আচরণ?
আর কত দেবো মাতৃত্বের ত্যাগ,
কবে যে পাবো ঈশ্বরের পায়ে ঠ্যাঁক,
জানি না কবে যে হবে আমার মরণ?
একদিন সন্তানদের খাইয়েছি নিজে না খেয়ে,
ঘুম পাড়িয়েছি সকলকে গান গেয়ে,
আজ তাদের কাছে আমি হয়েছি পর।
কত না মানত করেছিলাম ওদের চেয়ে,
ভেবেছিলাম এ জীবন ধন্য ওদের পেয়ে
অথচ ওদের দয়ায় আজ বৃদ্ধাশ্রম হতে চলেছে আমার ঘর।।

Loading

Leave A Comment

You cannot copy content of this page