বন্দির বন্দনা
-তোফায়েল আহমেদ
বন্দির বন্দনা আজীবন মুক্তির সাধনা অরাধনা
ইহা কৃত্তিম প্রাকৃতিক ঐতিহাসিক ও ধারাবাহিক,
বন্দির থাকে সন্ধি রকমারী ফন্দিতে চলমান গতি
ধারায়,জীবন যাপনের অবাক বসুন্ধধরায় প্রাত্যহিক।
মানুষের মানসিক,দৈহিক কোন অঙ্গ পতঙ্গের রোগ
ও অচলাবস্থাকেই কথায় প্রতিবন্দি বলে,
শ্রবন, আঁখির আলো, কথন চলন জ্ঞান বোধদ্বয়ের
অবসানে বন্দি হয়ে কষ্ট ভাসে ব্যথার জলে।
পাখি বন্দি মানুষের শখ খেলনায়,নেশাখোর মাতালে সন্ত্রাস খুন,ও জঘন্য অন্যায়ে কারণে মানুষ বন্দি,
কারাগারে থেকে মুক্তির করে অর্থ পণ,
যুক্তিতে তর্ক -বিতর্ক করে আইনজীবিরা কাগুজি প্রমানে,ও ছায়া শক্তির বলে মুক্তি পায় কতজন।
নিরপরাধ বন্দি,সত্য বন্দি কবির কবিতারা অর্থে বন্দি
মুক্তির স্বাদ অধরা,অর্থের নেই চকচকে জৌলস বাহার,
বিচারের সত্য বানী বক্র হলে অবিচারেই কাটাতে হয় বন্দির আবেগ, তিক্ত আহার,শেকল কারাগার তাহার।
পানি বন্দি তীরে, কলি বন্দি অলিতে ভালোবাসা বন্দি নিরব ব্যথার রক্তাক্ত হৃদয়ের নির্ঘুম গর্জন ভাঙ্গনে,
শয়তান বন্দি রমজানে, পুর্ণ প্রার্থনায়,মনুষ্যত্ব মানবতা বন্দি ইচ্ছায়,আত্মা বন্দি অসাধনায়,অপ্রাপ্তি রোদনে।
গরীব বন্দি অর্থে অমানুষ বন্দি স্বার্থে চর্ম বন্দি কর্মে নজর বন্দি সমাজ বন্দি, যুদ্ধ ও রাজনৈতিক বন্দি,
যদি অর্থ বন্দি হয় আপছোস পরিহাস রোদনে ক্লান্ত
নিরাশার আশা সব বন্দিকে স্বপ্ন দেখায় মুক্তির সন্ধি।