চিঠি
-সীমা চক্রবর্তী
বুকের ভিতর কান্না চেপে
লিখেছি চিঠি তোমার নামে
ঠিকানাটাও মুক্তাক্ষরে
দিয়েছি লিখে চিঠির খামে।
ডাক – বাক্সে ফেলতে চিঠি
যাচ্ছিলাম ঐ পথের বাঁকে
আজকে দিলে পেয়ে যাবে
কাল বিকেলের প্রথম ডাকে।
মনের যতো কথা ছিল
লিখে ছিলাম উজাড় করে
হয়তো ভীষণ অবাক হবে
আমার লেখা চিঠি পড়ে।
পথের মাঝে হটাৎ এলো
কালবোশেখির দমকা হাওয়া
ভীরু চোখে দেখলাম চিঠির
হাত ফসকে উড়ে যাওয়া।
খোঁজাখুঁজি করেও চিঠি
পেলাম না তো আর
কার ঠিকানায় চলে গেলো
হায়, কি হবে এবার !
ভেজা চোখে বিষন্ন মনে
ফিরেই এলাম ঘরে
কাটলো পরের দু’টো দিন
প্রবল মন-খারাপের ঝড়ে।
শেষ বিকেলে দরজায় দেখি
দাঁড়িয়ে আছে রানার
হলুদ খামে যে চিঠি দিলো
প্রেরক নামটি তোমার।
চিঠি খানি খুলে আমি
অবাক হলাম পড়ে
হারিয়ে যাওয়া চিঠি গেছে
তোমার কাছেই উড়ে !!!
লিখেছো তুমি, ” এভাবেই তুই
চিঠি লিখে আমার খেয়াল নিস
হটাৎ তোর কান্না পেলে
আমায় খবর দিস। “
খুশিতে মন উঠলো নেচে
প্রথম দিনের মতো
ভুলিয়ে দিলো এক পলকে
মন খারাপের ক্ষত ।