ক্ষুধার্ত
– দেসা মিশ্র
দু’টো পাতা মুছে যাক….. হিংসার আর অবহেলার।
দিন ক্ষয় হতে হতে যেটুকু ভালোবাসার নতুন রূপ দিই…. সেটুকুই তো জীবন।
আবার নতুন করে বাঁচার শক্তি ও বটে।
এই এলোমেলো সুখ গোছাবো বলে… যতো ব্যস্ত রাখি নিজেকে….
ততোটাই অগোছালো হয়ে জীবন আজ স্বপ্ন নদী l
স্বপ্নের ঢেউ তুলে বয়ে যায়… ভবিষ্যতের পথে।
একটা আলোকময় পৃথিবীর স্বপ্ন আজ আমি ও দেখি,
কবে আঁধার কাটবে বলে দাও তুমি।
বিলাসিতায় মজেছে আজ অট্টালিকা, তাদের সুখ রাখার বিন্দুমাত্র স্থান নেই,,
আর যাদের স্বপ্ন অন্ন, আমি তাদের কথা বলছি …..
আমি ক্লান্ত খুব আজ।
তুমি বলেছিলে আড়ালে কাঁদতে, সবার সামনে হাসতে,
অশ্রু তা শুধু আমার, আমার শুধু।
আমার সুখগুলো তোমাদের সবাইকে দেবো।
ওরা আড়ালে কাঁদতে জানে না….
ক্ষুধার্ত শিশু হাউ মাউ করে কাঁদে, ক্ষুধার্তদের কান্না তুমি দেখেছ l
এক আকাশ অশ্রু পান করেও তো তাদের তৃষ্ণা মেটে না আজ, …..
আরো কতো ক্ষত দিলে তারা সুখী হবে বলতে পারো?
আজ আমরা সভ্য হয়েছি, পৃথিবীটা নাকি হাতের মুঠোয়…..
অথচ ওদের হাতের মুঠোতে অন্নের অভাব l
অশ্রুর কোনো শক্তি নেই জানো.. সে পারেনা স্বপ্নকে ধুয়ে ফেলতে,,
নতুন করে স্বপ্ন বোনে মন..রঙ ধনু স্বপ্ন।
আঘাতের পর আঘাত স্বপ্নের লাশ শুধু। মন তাও কেনো স্বপ্ন আঁকে, মিথ্যে আশা বুকে বেঁধে…. নিত্য দিন বাঁচে।
অনেকটা আঁধার পেরিয়ে এসেছি একা,,
আরো আঁধার পেরোতে হবে আমায়…..
স্বপ্নগুলো আলোর আশায় পাগল…. ওদের একটু আলো দিতে হবে জানি তা আমি l
কবি… তোমার কবিতাতে অনেক আলো আছে, অনেক আলো l
আলোর আশায় যেমন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে বাসাতে থাকা পাখি……ভোর হলে কিঞ্চিৎ খাবার এনে সদ্যজাত শিশু টির মুখে দেবে বলে,
আমি ও বসে আছি সেইরূপ,
আমার তো আলো দেখা হয়নি বহু যুগ হল,
অথচ তোমার শব্দ জুড়ে এক সূর্য আলো।
এতো আলো তুমি কোথায় পাও বল?
আমার পৃথিবীতে কেবল রাত….. সূর্য কেন ওঠেনা?
আচ্ছা বেশ,…
আলো নাই বা দিলে….
দু’ মুঠো অন্ন দাও…….
শ্মশানে আজ তিল ধারণের জায়গা নেই।