কবিতা- বেহিসাব

বেহিসাব
– দেসা মিশ্র

 

কটা বৃষ্টি ফোঁটা পড়লো?
মাটির বুক ছুঁয়ে গেল কটা বৃষ্টি ফোঁটা?
পাহাড়ের বুকে কটা? মরুভূমি তে কটা?
ফুলে ও পাতায় কটা? আর নদী তে?
মেঘ তুমি গুনেছো কি? মেঘ তুমি গুণেছো?

বিদায়ে বরণে গেঁথেছি হাজার মালা,
আঁধারে জ্বেলেছি আশার প্রদীপ খানি,

আমি আঁধারে থাকতে চাই, আমি তৃষ্ণা ভালোবাসি।

অনেক পরিচিত মাঝে.. আমি অনামিকা হয়েই থাকতে চাই আজীবন।

বীণার তারে তারে সুরের সাধনা করেছি যুগে যুগে প্রিয়দের জন্য।
আমার জীবন ছন্দহীন থেকে যাক।

গুছিয়েছি দিন মাস বছর এর প্রতিটি পাতা,
হিসেবে রেখেছি সবার দুঃখ কষ্ট মান অভিমান পাওয়া না পাওয়া, ইচ্ছে আর অনিচ্ছা-টুকুর,
সেগুলোকে মানিয়ে নেয়ার সাথে সাথে অনেকটা পথ হেঁটেছি একা একা।
আমার যা কিছু সব আজ অগোছালো থাক, বেহিসাব হোক যাতনা যতো।

পৃথিবীর শেষ পথে, পথের শেষে..

আমার ক্লান্তি মুছে দিতে – সূর্য বসবে পাটে, দুলবে তরী ঘাটে। 
রাখাল ছেলে বাজাবে বাঁশি, শান্ত সবুজ মাঠে । 

সেদিন সব ক্লান্তি মুছে, পৃথিবীর এলো চুলে…

শেষ রক্ত দিয়ে  লিখব সুখের শেষ কবিতাটা।  

আমি অসীম সুখে সুখী,
হৃদয় মাঝে আসন খানি পেতেছি তোমার লাগি । 
সব সুখ টুকু তোমার নামে লিখে শেষ করব সুখের কবিতাটি।

এটাই শেষ লেখা,
যদি মনে রাখতে পারো রেখে দিও হৃদয়ের কোণে। 

পরের জন্ম যদি পাই, আমি পথ হব ঠিক….
তুমি দেখো নিও, বেহিসাব পথ।

মেঘ….. কোনো দিন হেঁটে যেয়ো আমার এ পথ দিয়ে। 
বেহিসাব ভালোবেসে বেহিসাব বৃষ্টি ফোঁটার চুম্বন…
শুধু নীল এক ফালি পৃথিবীর হৃদয় খানি ভিজে কাক ভেজা হোক,

কালো পাথর…. তৃষ্ণা আর তৃষ্ণা, বেহিসাব অফুরান পথ। 

Loading

Leave A Comment