ময়না তদন্তে
-কাজল দাস
গলার দড়িতে জমে থাকা রক্তে- ছিল আবেগ!
ফরেনসিকে ধরা পড়লো না কিছুই।
এতো প্রেম; দাবিদার হীন বেওয়ারিশ লাশে-
গুছিয়ে রাখা ছিল ঠান্ডা পাঁজরের তলায়।
ইনসিসনে গোপনীয় তথ্যের নক্সা আঁকা আবদার-
মুক্ত করেছে নিজেকে ধারালো ছুরির আঘাতে।
তবুও যেন গোপন রয়ে গেল সবকিছু,
গোপন রয়ে গেল নির্জন দুপুর, গাছতলা,
ভেজা ধূলোর গন্ধ, ঠোঁট ছুঁয়ে গড়িয়ে পড়া মুহূর্ত।
পৃথিবী আড়াল করা নিবিড় অনুবৃত্তি, প্রতিশ্রুতি,
সবই গোপন রয়ে গেল।
গোপন রয়ে গেল- গোধূলি নিকানো বিকেল,
বৃষ্টি মুখর সময়ের সৌহার্দ্য, অস্পষ্ট চোখের অসমাপ্ত স্বপ্ন।
কিছুরই হদিস মেলেনি ময়নাতদন্তে।
মাথার খুলিতে ছিল ত্রিকোন প্রেমের ভয়,
হৃদপিণ্ডে অসহায় প্রেমের রক্ত ক্ষরণ,
পাকস্থলীতে ছিল প্রেম ক্ষুধিত বিষ……
কতখানি স্বাদ, কতখানি সাধনা,
কতখানি ক্ষয় আর কতখানি পরাজয়।
আছে কি তার কোনো ছাপ- লাশকাটা ঘরে?
শুধু রক্তাক্ত চোখে আবেগতাড়িত প্রতীক্ষা-
লিখে যায় মৃতের বাসরে একাকিত্বের তমসায়
সাদা কালো কাব্যের পান্ডুলিপি-
-“আমি ভালো নেই”