ছবি
– সঞ্জিত মণ্ডল
অনন্ত আকাশ জুড়ে কত রঙ তুলি দিয়ে যত ছবি আঁকো দেখি ভুবনে,
এক জনমে তো নয় বহু জনমের সাধে সেই ছবি দেখে যাই জীবনে।
কত রঙ জানো তুমি কত বর্ণচ্ছটা,
সৃষ্টি যেন লহমায় সুখের কবিতা,স্বপ্নপারাবারে,
ছবি এঁকে রাখো তুমি মেঘের মিনারে।
উদাসী অন্তরে সেই মুগ্ধ ছবিখানি হাতছানি দেয় বারেবারে।
কখনো মেঘের ফাঁকে সোনা রোদ্দুরে
রাশি রাশি বর্ণচ্ছটা উছলিয়ে পড়ে মায়াময় ধরণীর বুকের ভিতরে।
সে আলোর রৌদ্রছায়া ধরা দেয় ছবির আকারে, কবির অন্তরে।
কখনো নাবিক দেখি পালতোলা নাওয়ে
কখনো বা ঘোড়সওয়ার পাগলা ঘোড়া নিয়ে
কখনো বা দুর্নিবার সৃষ্টির টানে
উদভ্রান্ত প্রেমিক এক ভেসে যায় প্রেমিকার টানে!
কখনো বরাহ দেখি কখনো অসুর
কখনো সুবেশা নারী আনমনে চলেছে বিধুর।
রোজ দেখি নীলাকাশে মেঘেদের ভেলা ভাসে
রোজ দেখি কত ছবি আঁকো ভরপুর,
সব ছবি তোমারই তুলির টানে হয় সুমধুর।
তুমি ছবি আঁকো কবি কথা আর কাব্য দিয়ে
জানিনাতো কটা পায় মেঘের উচ্চতা,
স্রষ্টার এঁকে দেওয়া আকাশের ক্যানভাসে
ছবি যেন মেঘের কবিতা।
আরও আছে স্রষ্টার খাতা খুলে দেখিবার কতশত ছবি তা ঠিক যেন কবিতা,
নদী নালা ঝর্ণার, ফুল পাখি পর্ণার মরুভূমি, হিমগিরি, সবিতা।
হার মানি সবই তা যত লিখি কবিতা নয় ছবি নয় তারা কবিতা।
হার মানা হার তাই মনে মনে লিখে যাই স্রষ্টার ছবি হলো কবিতা।
স্রষ্টার ছবি হল কবিতা
কবি সর্বশ্রী অমল দাস, রীণা চ্যাটার্জি ও স্বজন সাথীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অন্তহীন অভিনন্দন