কবিতা- পারিনা বলে

পারিনা বলে
-অযান্ত্রিক

 

গন্ডা গন্ডা কবিতার লেখার পর মনে হয়,কোনো লাভ নেই।
এতোদিন যত কবিতা লিখেছি ,তাতে একটাও কাজের কবিতা নেই,
নেই কোনো বাড়ি বানানোর কবিতা,চাষের কাজ করে দেয়ার কবিতা,
রান্না করার কবিতা,চুল বাঁধার কবিতা।
যদি হত তাহলে দূরে ,কোনো নদীর ধারে,কিংবা জঙ্গলের কিনারে,
কবিতা দিয়ে বানাতাম একটা বাড়ি,সেই বাড়ির উঠোনে জবা, টগরফুলের গাছ,
মাঝখানে একটা গোবর নিকোনো তুলসী মঞ্চ,যেখানে,
আমার বৃদ্ধ মায়ের রোজকার কাজে সাহায্য করতে,
লিখে দিতাম একটা মালতি মাসির মতো জ্যান্ত কবিতা,
হয়ত একটু দূর থেকে জল আনতে হবে,তারজন্য লিখে দিতাম,
একটা ষণ্ডামার্কা কবিতা যে তোমাকে জল এনে দিতো সন্ধ্যে বেলায়।
একটা দাসী বাদীর মতো কবিতা ,যে তোমার চুল বেঁধে দিতো
আমি কাজ থেকে ফিরলে স্নানের জল এগিয়ে দিতো গামছা।
কিন্তু আফশোস এমন কবিতা আমি লিখতে পারিনা,
কোথায় শেখ যায় তাও জানিনা, তবে,,
যদি কোনোদিন শিখে ফেলি,যদি কোনোদিন লিখতে পারি,
নিলোফার,সেদিন ,সেদিন কি সত্যিই তুমি আসবে আমার বাড়ি।

Loading

Leave A Comment