এক শ্বাসক্লিষ্ট কবিকে
– নৃপেন্দ্রনাথ মহন্ত
কবি,আমিই সেই মেয়ে যে দাঁড়িয়েছিল ট্রাম-স্টপেজে।
বসন্তের ব্যাকুল বাতাসে
এলোমেলো হয়ে যাচ্ছিল তোমার
‘শুধু স্মৃতিটুকু-থাক-মার্কা’ দরিদ্র চুল।
তবে ধনী চকচকে টাকখানি তেমনি নির্বিকার।
আমার ছেঁড়া ফ্রকে দারিদ্রচিহ্ন
মলিন দু’হাতে ছিল ফুল।
ঠিকই ধরেছো কবি, কবরখানা থেকে তুলে আনা
জীবনের কিছু অনিবার্য ভুল।
আমার হাতে গোলাপ
তোমার দেহে শিহরণ
ফুল কেনার অছিলায় আমার আলতো গালে
হাত বুলোবার দুর্দম বাসনা।
কিন্তু তুমি তো পর্যটক নও, কবি।
কী এমন ক্ষতি হতো দু’দণ্ড দাঁড়ালে?
তুমি চলে গেলে একটাও ফুল না কিনে
তুমি জানোনা গো, কিনলে কতটা উপকার হতো
আমার রুগ্ন বাবা-মা সেদিন অভুক্ত থাকতো না।
আমার তো বেচার কিছু নেই, ফুলছাড়া!
তাহলে খাবোটা কী?
আর যা আছে–শরীরী বৈভব
সেতো বেচার না ,কবি সোনা!