পচাশামুকে পা কাটে
– অতীশ দীপঙ্কর
ছোট্ট একটি ডোবায় অনেক মাছ খেলে দেখে
ভাবলাম নেমেই দেখি,
পুকুরের চারিদিকে সবুজঘর সাপ ব্যাঙ কতকি!
নীলনীল কুচকুচে ঢলঢল জল—
মনে হলো কতো গভীর নির্মল শিতল।
ভাবি নি এযে এঁদোপুকুর অবিকল,
তলায় লুকিয়ে থাকা পঙ্কিল ঘোলা জল
সদরে থাকে না তেমন, ছিলো প্লাঙ্কেট সবুজের ঢল।
সুন্দরী গোজের আড়ালে শেওলা আভরণ
জটিল যৌগিকশরীর দুর্বোধ্য বিচরণ।
পচাপাঁকে গুগলি-শামুক—
পাতিহাঁস পানকৌড়ি ডুবসাঁতারে খুঁজে যায়,
মুক্তহীন ঝিনুক এঁদোপুকুরের পাঁকে
বিষিয়ে পঙ্কিল হয়।
দু’কানে আঙুল দিয়ে নিঃশ্বাসে যেই দেব ডুব
অমনি পচাপাঁকে গাঁথা পা,
গা ঘিনঘিনে কাদায় শিউরে ওঠে গা।
কেটে দিলো খানিক পচাশাকুকে
ওঃ কি সে জ্বালা!
তবুও যদি জাতের হয়!
নেড়িগুগলী মোটেই শুমুক নয়।
মনের সাড়া তুই এক্ষুণি পালা পালা
কাজ নেই পচাজলে নাওয়া।
অনেক ভোগান্তি!
কত ইঞ্জেকশান ওষুধ বদ্যি!
আজও চেটতে দগদগে ঘা,
পচা শামুকের আসল কেরামতি।
এক চরম শবক চলতি পথের, নয় ধাক্কা,
মাকাল ফল থাকলেও আরেকবার বোধ উঠে আসা।