স্তব্ধ দহন
-সঙ্কর্ষণ
ক্রমশঃ অতিবাহিত হচ্ছে একটি শীতার্ত রাত।
সেভাবে এখনও আসেনি শীতের সময়…
বর্ষামঙ্গলের অনুষ্ঠান পেরিয়েছে বহুদিন।
মাঝখানে যে স্নিগ্ধ স্মৃতিটুকু থাকার কথা
তাকে স্বেচ্ছায় ভুলে যাওয়ার নামই কবিত্ব,
আবেগের মাপ বুঝি চিনেছিলো দুঃখ ও সুধা।
“মহাজন গতস্য পন্থায়” ক্লান্ত সে বিন্দু
জেনো আজ দু’দণ্ড দাঁড়াবে অতীতের কাছে।
আলো দিতে দিতে ছটা দেখে বিস্মিত যারা
কেন্দ্রে গোলকটিকে ছুঁয়ে দেখেনি তো…
শোনো শোনো ঈশ্বর তুমি তাকে জ্যোৎস্না দিও ধরে,
দূরে সরে গেছে যেন কতো দূরে সরে গেছে।
এই মহা মহা পৃথিবীর শেষটিতে পৌঁছোতে চাওয়া
সকলেই একদিন শেষলগ্নে হঠাৎ পৌঁছে যাবে,
অথচ অপেক্ষায় যে ছিলো, সে’ও জানেনা কীসের…
বিস্তৃতি ক্রমে ছোটো হ’চ্ছে, নিভে যাচ্ছে আলো।
কেন আজ রাত হ’লে ডাকেনা তো রাতচরা পাখি
যারা মিশে যেতে চায়, বাতিগুলো সারি সারি
নিশ্চুপে দেখে… যে ব্যক্তি পথ ছুঁয়ে চলেছিলো আজ
শোনেনি তো নৈকট্য চাপা পড়ে গেছে এরকমই রাতে।
আকাশের রঙে বিলীন হ’তে বিন্দুটি যে পথ হেঁটেছিলো,
শীতার্ত রাত এলে এঁকেবেঁকে নড়ে ওঠে ট্রিংট্রিং ট্রিংট্রিং।
ভালোলাগলো