কবিতা

কবিতা- পাখির মৃতদেহ

পাখির মৃতদেহ
– অতীশ দীপঙ্কর

 

 

একটা পাখির মৃত ছবি দেখলাম সেদিন পাঠিয়েছে,
সাদা অথচ ফ্যাকাশে রক্ত শূন্য দেহ,
পাখির গায়ে আধুনিক সাদা জামাটি কফিনের মতো,
রক্তাক্ত ঠোঁটে পড়ে আছে নন্দনের বাঁধানো গাছটির নিচে।
সামনাসামনি হলে হয়তো সহ্য হতো না সে দৃশ্য !
ঝাঁপ দিতাম ঐ রক্ত চোষা রমন ব্যাধের উপর,
নিমেষে ছিড়ে যেত ওর গলার নলী—
চিরদিনের মতো ভেঙে ফেলতাম ওর মুঠোক্যামেরা তীর।
ব্যাধ সেজেছে সে কলির কেষ্ট—
কিছু কবিতার লাইনে পাখির শরীর যৌবন এঁকে
কেষ্ট এখন বিষ্টু।
প্রতিদিন পাখির একটা একটা করে পালক খসতে দেখি,
একটু একটু করে আগুন লাগে শরীরে—
পাখির বাড়ন্ত আগুনের ঢেউ আছড়ে পরে বাতাসে,
আগুন কেবল ব্যাধের শরীরে ঝাঁপিয়ে ঢুকতে চায়,
এ আগুনে অন্যকে পোড়াতে চায়।
অনায়াসে সেতু গড়ে ভরা নদী আর ফসলের শ্রাবণ,
গোপনে গোপনে মিশে যায় পাখির আগুন।
অবিশ্রান্ত ধারায় আগুন প্রজাপতি হয়ে যায়,
তেজ পাতার মতো তিরতির করে কেঁপে—
প্রজাপতি যোনি পান্ডুলিপির ভেতর ধায়।
রমনের ঘ্রাণে শব্দের বিকলাঙ্গ গর্ভপাতে
পাখি কবিতায় বেঁধে দেয় কলঙ্কের চাবিকাঠি,
শব্দের বিনিময়ে বিছানায় একটা একটা করে
খুলে রেখেছে তার পাপড়ি।
সবুজ রঙের শেওলা সারা গায়ে,
রঙে রঙে মিলেমিশে শেওলায় গেছে মজে,
ধীরে ধীরে নীলকন্ঠী পাখিটি রক্ত শূন্য ফ্যাকাশে হয়েছে।

Loading

Leave A Comment

You cannot copy content of this page