সে যে দীন ভিখারী
– অতীশ দীপঙ্কর
মানুষ জন্মালে ক্রমশ বড়ো হয়—
অজ্ঞানতার অন্ধকার চিরে হাতড়ে হাতড়ে শেখে,
প্রদীপের শিখা কখনো জ্বলার আগেই নিভে যায়।
অদ্ভুত ভাবে মানুষই কিছু রোজগার করে,সংসার হয়,
সন্তান-সন্ততী নিয়ে টাকা জমাতে জমাতে
হুট করেই একদিন মারা যায়।
তিমির অন্ধকার থেকে মানুষই আলো চেনে,
নিজেকে খুঁজে না পেয়ে
কেউ রাতের অন্ধকারে প্রতিনিয়ত সুখ খোঁজে,
কষ্টের কোন সীমানা না থাকায়
সুখের মাঝেও কেবলই রাত জাগে।
শরতের আকাশের অতিথিয়তায় বর্ধিত আষাঢ়ের
প্রেমালাপে শিউলির টুপটাপ নিশ্চুপ ঝরে যাওয়া নিঃশব্দ,
সখ্যতার সাম্রাজ্যের বৃষ্টি আমার পরিশ্রম,মেধা চতুরতায়
ভিজিয়ে , মননের গতর জুড়ে করেছে নিপুণ ক্ষত।
খুশির আব্দার নিয়ে আসা ভিখারীটি দীন,
গায়ে তার হলুদ জীবন ছেয়ে গেছে,
শিশির ভেজা পবিত্রতায় নির্মোহ হয়ে সেদিন
বকুল শুভ্রতা দিয়েছি ছাতিম ফুলের সাথে,
ভালো না বেসে থাকতে পারি না বলে।।