ভালোবাসি
-ডাঃ নীলাঞ্জন চট্টোপাধ্যায়
ভালোবাসা তার ভিন্ন আঙ্গিকে, চেহারায়,
মানুষের মধ্যে নিজেকে উজার করে, হারিয়ে ফেলেছে —
ভালবাসা নদীর জলের মতো বহমান ;
সে তার বুকের উপর দিয়ে ভেসে চলা সব আবর্জনাকে নিয়ে,
এগিয়ে চলে সাগরের দিকে-,নদীর মতো, সাগরের খোঁজে —
কখনও শান্তসলিলা, আবার উদভ্রান্ত এক পথিক।।
ভালোবাসি সবাই, তবু সবাই কি
প্রতীক্ষায় থাকতে পারি,
ভালোবাসার মানুষের জন্য!
তখন কত ব্যস্ততা, অজুহাতের জাল বোনা ;
যা ছিল অনেক, তাই তখন হাতেগোনা!!
হিসেবী মগজে ব্রাত্য হয়েছে, ভালোবাসার আল্পনা।।
তখন মেঘ করলে বৃষ্টির অপেক্ষায় থাকতাম,
বৃষ্টি এলে উঠোনে কিংবা রাস্তায় ভিজতে ভিজতে,
ভেজার আনন্দে যেন উড়ে যেতাম,
হাওয়াই জাহাজ কিংবা সেই পক্ষীরাজের মতো–
আজ হারিয়েছে মেঘলা আকাশের, বুক ভরা অভিমান -!
অনাবৃষ্টির তাই এতো কলরব, এত হাকডাক।।
আজ “সময়” আমার, সবটুকু সময় কেড়ে নিয়েছে,
দায়িত্ব আর কর্তব্যের ঘোড়া ছুটিয়ে,
সারাদিন চলতে চলতে কখন যেন
নিজেকে হারিয়ে ফেলেছি,
শুন্য প্রান্তরে, মরুতে —
অপেক্ষা করতে পারিনি দশটা মাস, কিংবা বছর।।
সবটুকু ভালবাসা জমিয়ে ফুলদানিতে ফুল হতে পারিনি;
এই দশটা বছরে —
হারিয়ে ফেলেছি আমার সেই “ভালবাসা”,
যাকে নিয়ে ছিল আমার বাঁচা,
বিজলীর গমকে, চমকে চলা;
মেঘ থেকে বৃষ্টি হয়ে ঝরা ,সব কথা বলা-
যাকে ভালবেসে, “ভালবাসি” বলা, সবটুকু ভালো থাকা।।