মন সবুজ হয়ে বাঁচ
– দেসা মিশ্র
না, আর তোমার ওই পথে হাঁটবো না আমি।
তোমার শহরের আলো তোমারই থাক।
এতো আলোর ঝাড়বাতিতে কাজ নেই আমার,
আমার তুলসী তলার প্রদীপে আমি সুখী।
চেনা সব গলি পথের গল্প গুলো অচেনা হোক,
ভুল যেতে চাই সব পথ,
ভুলে যেতে চাই তোমার প্রিয় রঙ, প্রিয় গান, প্রিয় বই, কবিতা, পছন্দের লেখক – সব কিছু সব কিছু।
আকাশটা আজ সাদা,
মন তুলি দিয়ে নীল ভোরে নেবো – অসুখ ভুলে যাব।
একটা বাগান বানাবো, খুব ছোট্ট একটা বাগান।
ও আমার ছোট্ট চারা – আমার কোনো তাড়া নেই গো,
তুমি ইচ্ছে মতো সময় নাও – যেদিন তুমি হাসবে – সেদিন শুয়োপোকা হবে প্রজাপতি।
কোনও রেস্টুরেন্টে বসে মিথ্যে অট্টহাসিতে বিকেল যাপন চাইনা আমি,
আমার গ্রামের চেনা নদীর তীরে বসে, নদীর পাশে আধ ঘুমে থাকা নুড়ি কাঁকড়দের শোনাবো রূপকথার গল্প।
রঙিন কাগজে মোড়া নানান উপহার- খুলে দেখতে চাই না আমি,
বাবুই পাখির বাসাতে কয়টি ছানা আছে সেই খুঁজে খুঁজে আমার মুক্তি।
না না আর ফিরব না আমি তোমার স্ট্রিট লাইট এর তলে, ফিরব না।
এক আকাশ জোনাকি আমার জন্য অপেক্ষা করে আছে।
উঁচু ফ্ল্যাট? এসি? না না না,
সুখ নেই, সুখ নেই,
আমার প্রিয় কুঁড়ে ঘর, সব জানালা থাক খোলা,
মিঠে হাওয়াতে সবুজ হোক প্রাণ,
প্রাণ ভোরে নেবো প্রশ্বাস।
এতো চিৎকার..
এতো চিৎকার..
কষ্ট ভীষণ কষ্ট,
আমি শুধু পাখিদের গান শুনতে চাই।
নতুন জীবনের গান, দিন শুরুর গান, গান ঘরে ফেরার।
ও আমার ডানায় গোধূলি মাখা সুখ পাখি একটা গান শুনিয়ে যা।
আজ অনেক প্রজাপতি এসেছে জানো?
আমার ছোট্ট বাগানটি আজ ফুলে ফুলে ভরা।
বাবুই ও বুনেছে নতুন বাসা।
আজ আমি ভীষণ খুশি।
কত দিনের মন খারাপ গুলো আজ হারিয়ে গেছে।
যা ক্ষত ছিল, বেদন ভুলেছে।
যদি পারি,
শহরের বুকের ক্ষতগুলোকে কোনোদিন আমার সবুজ ভালোবাসাগুলো দিয়ে মুড়ে দেবো।
তবে ততদিন..
তোমার শহর জুড়ে লেগে থাকা সব পোস্টারগুলো আমার না দেখাই থাক।
আমি রবীন্দ্র রচনাবলী বুকের মাঝে নিয়ে নীল জোছনায় ঘুমিয়ে পড়েছি।
তার লেখা এক একটা পাতা এক একটা আকাশ, শুধু ভালোবাসা আর ভালোবাসা।
আমি আঁধার ভুলেছি, তোমার শব্দ প্রদীপে এতো আলো।
আজ আমি মৃত্যু ভুলেছি,
আজ আমি তোমাকে ভালোবেসেছি, হে মৃত্যুঞ্জয়।।
খুব ভালো লাগলো
অসাধারণ