কবিতা শ্রমিক
– নৃপেন্দ্রনাথ মহন্ত
শব্দরা গন্ধবহ।ঘোরে ফেরে ঘরের বাতাসে।
সময়ের জ্ঞান নেই।সময় তো অচিন অতিথি।
তার দিনক্ষণ নেই,শুভাশুভ নেই।মানেনা সে
কোনো ধর্মবর্ণভেদ। বিজ্ঞানে অমেয় প্রতীতি।
তার কাছে নিতিনিতি হাতপাতি কবিতার আশে।
কবিতা সোনার ধান।না’য়ে করে নিতে হয় তাকে।
রবি ঠাকুরের তরি ভরা ছিল সোনালি ফসলে
দিনমজুর তাই ফসলের ভাগ দেয় না আমাকে।
অঘ্রানের হাওয়ায় ধান পাকে।ঝরে যায় ধান।
মানুষও পাকে। জীর্ণ ফুসফুসে উত্তুরে বাতাসে।
আমারও শরীরে,ফুসফুসে কি লেগেছে অঘ্রান,
আমিও কি ঝরে যাবো পৌষে-মাঘে শীতসন্ত্রাসে?
কবিতার কী হবে তবে?কবির শ্রমের ফসল!
প্রকাশক নেই তার।কবির তো নেই অর্থবল?