শব্দে জন্ম
– দেসা মিশ্র
কাজের ঘুড়ির বাঁধন ছিঁড়ে বেড়িয়ে আসবি কোনো এক দিন?
হয়তো যেদিন শুকনো পাতা ঝরা গোধূলি বেলা – গোলাপি আকাশ,
বন ফুলের সুগন্ধ মেখে বসে আছি আমি,,
আসবি সেদিন?
আমার কবিতা তে জন্ম নিবি?
একটা নতুন জন্ম?
কি রে নিবি?
তোর বুঝি ইচ্ছে করে না একটা অন্য জীবন?
একটু অন্য বিকেল – অন্য ভোর – অন্য আলো অন্য রঙ?
ইচ্ছে করে না? অন্য সুর – নতুন ঢেউ –
দূর পাহাড় – একলা বন?
তোর উদাস চোখ, দেখ- চা এর কাপ জুরালো।।
কতদিন আর কষবি হিসেব কলমে কালি ফুরোলো।
এবার না হয় নে ছুটি,
আকাশ মাঠে লুটোপুটি,
হেঁটে আয় গুটি গুটি –
মনের মতো বাঁচ ।।
নানান কাজের জীবন চাকা,
কপাল ভাঁজে দায়িত্ব রেখা-
মিটিয়ে দিবি, – জন্ম নিবি?
এই যে আমি কালো মেয়ে- সন্ধ্যে বেলায় পুকুর থেকে স্নান সেরেছি,, তোরই জন্যে এলো চুলে গান ধরেছি –
তুই যে আমার নীল তারা, মন ভোলানোর একতারা।।
যখন যখন ক্লান্ত হবি,মনের জ্বর বাড়বে, – না হয় জন্ম নিস আমার কবিতার মাঝে,,
সুখ পাখি হয়ে নীল জল ছুঁয়ে যাবি।
কিছু মেঘ হয়ে গল্প সাজাবি।
দুরন্ত ঘাস ফড়িং হবি?কোনো এক বেলা নিজের রঙেই রঙিন তোর মন,,
বই এর পাতার মাঝে রাখা ভালো লাগার রঙিন পালক হবি?
দক্ষিণ বাতাস হয়ে আমার সাথে কথা কইবি।
জন্ম নিবি?
সবুজ বৃষ্টি হবি?
চাঁদের পায়ের নূপুর হয়ে বাজবি?
কি রে?
চুপটি কেনো থাকিস?
মনে মনে কি আঁকিস?
এক টুকরো শীত হবি? নাকি বাহারি ঝিনুক?
কিছু টি যখন ভালো লাগবে না,
উঁই পোকা খাওয়া যখন মন – জন্ম নিস।
কোনো বাঁধনে বাঁধবো না আমি,
আমি তো মুক্তি তে বিশ্বাসী।
আমি তোকে মুক্তি দিতে পারি এই মুখোশ পড়া জীবন থেকে।
যেমনটি ভালো লাগে তোর – না হয় সাজিস মনের মতো।
ভুলে যাস মিথ্যে জীবন,
ভুলে যাস মিথ্যে আপন,
অগোছালো একঘিয়েমির মৃত্যু হোক,
জন্ম নে নতুন করে।
শুধু যদি কিছু সুখ দিতে পারি,
যদি দিতে পারি এক পৃথিবী আলো, যদি দিতে পারি এক অধর হাসি,,
জন্ম নিস আমার শব্দে শব্দে কখনো ছন্দে কখনো ছন্দ ছাড়া,
পায়ের শিকল খুলে, চেনা পথ ভুলে অচেনা পথের পথিক হবি কোনো এক শিশিরের ডুবে যাওয়া সন্ধ্যে বেলায়।
কালো দীর্ঘশ্বাস ভুলে যাস, প্রাণ ভরে নিশ্বাস নিস আমার কবিতার রন্ধ্রে রন্ধ্রে।