কবিতা- বধির

বধির
-অনির্বাণ মন্ডল

থেমে যাওয়া চাকার কনায় কনায় ক্লান্তি;
হয়তো ক্লান্তি কোনো চোখে নয়;
চোখের বিবর্ন প্রতিফলনের অনু পরমানুতে।
চেনা গলি, চেনা ঘাসফড়িং, কুকুরগুলোর উৎসুক চাহনি
সবই বড় চেনা চেনা;
আর তাই বোধহয় কিছুক্ষনের জন্য সময় থমকে যায়।
খুঁজে পাওয়া নয়টা গ্রহ আর রহস্যের অন্ধকারে থাকা নিহারিকাপুঞ্জ
সবই কেমন যেন চুপচাপ।
ঝরে যাওয়া পাতার খড়খড়ে শব্দ হয়তো কিছু বলতে চেয়েছিল;
কিন্তু শোনা হয়নি।

শোনা হয়নি হিটলারের মৃত্যুকালীন আর্তনাদ,
শোনা হয়নি নাগাসাকিতে বিষ্ফোরণের শব্দ,
শোনা হয়নি রাশিয়ায় জারতন্ত্রের ধ্বংসের আওয়াজ,
শোনা হয়নি আলেকজান্ডারের পরাজয়ের অস্ফুট কান্না,
শোনা হয়নি সতীদাহের সময় একদল হৃদয়হীন লোভীর উল্লাস।

ঠিক একইভাবে শোনা হয়নি
রাতের সূর্যকে সাক্ষী রেখে
নরওয়ের কোনো যুবক যুবতীর
গভীর রাতের ভালোবাসার উদ্দাম শীৎকার
কিংবা সকালের নামখানা লোকালে
হঠাৎ ভালো লেগে যাওয়া কোনো নারীর মিষ্টি কন্ঠস্বর।

আমি শুনিনি এসব কিছুই!
আমরা কেউই শুনিনা;
আসলে শুনতে চাইনা!

Loading

3 thoughts on “কবিতা- বধির

  1. স্যার আপনার কবিতা খুব সুন্দর হয়েছে 😍😍😍🥰🥰

  2. Sir apnar pottak ta kobita monchua jai sob e tola acha mon er collection a aro eakti sundhor vabna jog holo sai collection a.😊😊😊😊

Leave A Comment