অন্ধকার
-মঙ্গল মন্ডল
দেখেছি তার কান্নাগুলো,
ছিটকে পড়ছে কন্ঠ দিয়ে ,
আছড়ে বাতাস টুকরো করছে,
সেই দৃঢ় কান্না;
তোমরা কেন শুনতে পাওনি সেদিন?
দেখো ওই বাঁচার চিৎকার ফুটছে মুহুর্মুহু;
ঠোঁট কাঁপছে চতুর্দিক,
নয়নে তার ভয় ঢেকে আসছে,
আত্মা যেন এই বের হয়ে পালায় পালায়;
কেন তাকে হাঁ করে দেখেই গেলে,
যদি দু’টো হাত বাড়াতে!
চোখের সামনে,
তাও তো তার ছিটকে পড়া কান্না
আর চিৎকারগুলো সমাধান পেতো;
আমি দেখেছি, আমি শুনেছি,
শিশু হয়ে অজানার মাঝে;
সে কি গভীর আর্তনাদ ,
একটু বাঁচতে চায়;
তার ছটপট করতে থাকা অমূখ শরীর,
তোমরা কেন বুঝলে না সেদিন ;
বিষটাও হার মেনেছিল,
নিজেই বেঁচে থেকে ছিল
আরো দু’চারটে ঘন্টা ;
হঠাৎ যেন লড়াইয়ে চিৎকার থেমে গেল,
সকালের রবি উঠেও ছিল ,
তবু যেন অন্ধকার নেমে এলো।
আশেপাশে হা করে তাকিয়ে দেখলো,
মরণ কিভাবে হয়?
সেদিন সে হেরে গিয়েছিল ,
তার একার লড়াইটা,
চোখে আজও তীব্র যন্ত্রণায় ফুটে আছে শীলালিপির মতো, আমার চোখে।
‘তোমরা দেখেই যেও সারাটাদিন,
তুমিও জানো বাঁচতে;
সেও বাঁচতে জানতো,
লড়েছিল অর্থহীন জীবনের সাথে,
শুধু কুসংস্কারের ছায়া
তাকে দিলো না ফিরতে।